অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জিকে শামীম) এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছে দুদক। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আসামি শামীমকে এবং উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আসামি খালেদকে গ্রেফতার দেখানোর এ আবেদন করেন।
ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন প্রাথমিক শুনানি শেষে ২৭ অক্টোবর আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত সোমবার জিকে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী এ মামলা করেন। অন্যদিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অর্জনের অভিযোগে উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলাগুলোয় আদালত যথাক্রমে আগামী ১৯ নভেম্বর এবং ১৮ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।
শামীমের মামলায় বলা হয়, ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত আসামি শামীম ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও ওই টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
অন্যদিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মামলায় বলা হয়, এ আসামি চার কোটি ৫০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৭০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাবের অভিযানে তার গুলশানের বাসা থেকে ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও গত ২০ সেপ্টেম্বর জিকে শামীমকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারের পর উভয় আসামিকে অস্ত্র, মানিলন্ডরিং ও মাদক মামলায় বিভিন্ন দফায় রিমান্ড শেষে ১৩ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়।