রাজবাড়ীর পদ্মা নদী থেকে জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ আনতে গিয়ে আটক দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. ফজুলুল করিম।
তিনি জানান, জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ আনার অভিযোগে আটক দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্য হলেন এএসআই সফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল ওসমান গনি। এর মধ্যে এএসআই সফিকুল ইসলাম রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সে ও কনস্টেবল ওসমান গনি রাজবাড়ীর আদালতে কর্মরত ছিলেন।
চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন জানান, গত সোমবার গভীর রাতে এএসআই সফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল ওসমান গনিসহ সাত থেকে আটজনের একটি দল চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শহিদ শেখের বাড়ি যান। এ সময় তারা শহিদ শেখের ট্রলার নিয়ে নদীতে নিয়ে যান। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাড়া এলাকা থেকে কনস্টেবল ওসমান গনি ও স্থানীয় যুবক বাবুকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাদের দুজনকে মারধর করে পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রাসা কক্ষে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার সময় এএসআই সফিকুল ইসলাম জেলেদের আরেকটি নৌকায় ছিলেন। ভোরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই নৌকার ১৬ জেলেসহ তাকে আটক করেন।
জেলা মত্স্য কর্মকর্তা মজিনুর রহমান জানান, গত সোমবার মধ্যরাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত দুই পুলিশ সদস্য ও ১৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ ইলিশ ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আটক ১৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
