৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা বা ৩৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজের
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১
টাকা ৩৫ পয়সা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব
বছরে ইপিএস কমেছে ৫২ পয়সা বা ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি
নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১৮ পয়সা,
আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩২ টাকা
৩৬ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের
জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া ২০১৭
হিসাব বছরের জন্য ১৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল
কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ২৪
টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২৪ টাকা
ও ৫৮ টাকা ২০ পয়সা।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫৮ কোটি ৮৪ লাখ ৭০
হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৮৮ লাখ
৪৭ হাজার ৩৮৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক
বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ২৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৭ দশমিক ৭৫
শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের
ভিত্তিতে কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৮, হালনাগাদ
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে যা ৩০ দশমিক ৮৯।