৭৩৭ ম্যাক্স সংকট

ক্ষতির অংক আরো বাড়বে বোয়িংয়ের

বণিক বার্তা ডেস্ক

কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র কয়েক মাস গোপন করার অভিযোগে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) সমালোচনার মুখে পড়ায় গত সোমবার বোয়িংয়ের শেয়ারদর আরো একবার কমেছে। ৭৩৭ ম্যাক্স সংকটে চাপে থাকা বোয়িং বিভিন্ন মহলের সমালোচনায় দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে। খবর রয়টার্স।

পরপর দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর চলতি বছরের মার্চ থেকে ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের সবকটি উড়োজাহাজ বিশ্বব্যাপী গ্রাউন্ডেড থাকায় বোয়িং কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত জরিমানা হিসেবে কয়েক কোটি ডলার গুনতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কয়েকটি ব্রোকার হাউজ।

এ সম্পৃক্ত কয়েকটি প্রতিবেদন নতুন মডেলের ৭৩৭ ম্যাক্স সেবায় ফেরার পূর্বাভাসকৃত সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

এদিকে ৭৩৭ ম্যাক্স সেবা প্রবেশের আগে মডেলটির অ্যান্টি-স্টল ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে বোয়িংয়ের দুই কর্মকর্তার বার্তা আদান-প্রদানের তথ্য গত শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার পর ক্রেডিট সুইস ও ইউবিএস বোয়িংয়ের শেয়ার স্টক কমিয়েছে। এ সংবাদ কোম্পানিটিকে নতুন চ্যালেঞ্জে ফেলেছে।

অন্যদিকে সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর প্রথম বেলায় বোয়িংয়ের শেয়ারদর ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৩২৪ দশমিক ৪০ ডলারে নেমে এসেছে, যা ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজে (ডিজেআইএ) কোম্পানিটির সবচেয়ে বড় শেয়ারদরের পতন। তবে চলতি বছরের মার্চে ইথিওপিয়ায় দ্বিতীয় বিমান দুর্ঘটনার পর কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য (ভ্যালু) কমেছে ১৮ শতাংশ।

উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে কোম্পানিটি ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ উৎপাদন কমিয়েছে। তবে অবস্থাগতিকে আগামীতে কোম্পানিটি নিজেদের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নভেম্বর নাগাদ ৭৩৭ ম্যাক্স সেবায় ফেরার যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা এফএএ কর্তৃক বাতিল হয়ে গেলে কোম্পানিটির ঝুঁকি আরো বাড়বে। ৭৩৭ ম্যাক্স নভেম্বরে সেবায় ফিরতে না পারলে ডিসেম্বরেও সেগুলো গ্রাউন্ডেড থাকবে বলে জানিয়েছেন ইউবিএসের বিশ্লেষক মাইলস ওয়ালটন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন