পাবনার তাড়াশ
রাজবাড়ি,
যা
প্রচলিতভাবে
তাড়াশ
ভবন
নামে
পরিচিত,
বাংলাদেশের
গুরুত্বপূর্ণ
একটি
ঐতিহাসিক
স্থাপত্য
নিদর্শন। ভবনটি
তৈরি
করা
হয়েছিল
আঠারো
শতকের
কোনো
এক
সময়। ব্রিটিশ
শাসনামলে
তাড়াশ
রাজবাড়ী
বা
তাড়াশ
ভবনটি
নির্মাণ
করেন
তাড়াশ
এস্টেটের
তত্কালীন
জমিদার
রায়
বাহাদুর
বনমালী
রায়। সতেরো
শতকে
জনৈক
বাসুদেব
তালুকদার
ছিলেন
এই
জমিদারির
গোড়াপত্তনকারী। পরবর্তীকালে
১৮৮২
খ্রিস্টাব্দে
দত্তক
পিতা
বনওয়ারীলাল
রায়ের
মৃত্যুর
পর
বনমালী
রায়
তার
পিতার
বিষয়-সম্পত্তির
উত্তরাধিকারী
হন। তিনি
অসাধারণ
প্রতিভাসম্পন্ন
ব্যক্তি
ছিলেন। তার
সুব্যবস্থাপনায়
জমিদারির
আয়
অনেক
বৃদ্ধি
পায়। সমাজ
উন্নয়নের
লক্ষ্যে
জমিদার
রায়বাহাদুর
বনমালী
রায়
পাবনায়
বেশকিছু
সংগঠনমূলক
কাজের
পরিকল্পনা
গ্রহণ
করেছিলেন। তিনি
নানা
রকমের
প্রতিষ্ঠান
স্থাপন
করেছিলেন,
যার
মধ্যে
রয়েছে
বনওয়ারী
নগর
সিবিপি
উচ্চবিদ্যালয়
‘পাবনা
এডওয়ার্ড
কলেজ’
বনমালী
ইনস্টিটিউট,
টমসন
হল,
ইলিয়ট
শিল্প
বিদ্যালয়,
হাসপাতাল,
টাউন
হল,
পাবনা
ইলিয়ট
বনমালী
টেকনিক্যাল
স্কুল
ইত্যাদি। জনহিতকর
কাজের
জন্য
তিনি
দুর্ভিক্ষ
ভাণ্ডার,
জগন্নাথ
দেবের
মন্দির
সংস্কারসহ
আরো
অনেক
কাজের
জন্য
অর্থ
দান
করে
গেছেন।
তদানীন্তন
ব্রিটিশ
সরকার
বনমালী
রায়ের
নামের
প্রশংসা
করে
১৮৯৪
খ্রিস্টাব্দে
‘অভিষেক’
অনুষ্ঠানের
মাধ্যমে
তাকে
‘রায়বাহাদুর’
উপাধিতে
ভূষিত
করেন। এর
পাশাপাশি
তিনি
আরো
অনেক
পুরস্কার
ও
খেতাব
পেয়েছেন। দেশহিতকর
কাজে
তিনি
বহু
অর্থ
ও
জমি
দান
করে
গেছেন। বনমালী
রায়কে
বৃহত্তর
পাবনা
জেলার
শ্রেষ্ঠ
জমিদার
বলা
হয়।
তার
নির্মিত
তাড়াশ
ভবন
স্থাপত্যের
দিক
দিয়ে
ইউরোপীয়
রেনেসাঁ
রীতির
সঙ্গে
অনেক
মিল
পাওয়া
যায়। প্রাথমিকভাবে
সামনে
দাঁড়িয়ে
দেখতে
গেলে
পাবনার
তাড়াশ
ভবন
অত্যন্ত
আকর্ষণীয়
ও
দৃষ্টিনন্দন। ঔপনিবেশিক
যুগে
নির্মিত
দোতলা
এ
ইমারতটি
পাবনা
শহরের
মধ্যে
প্রধান
সড়কের
পশ্চিম
পাশে
অবস্থিত। একটি
অর্ধবৃত্তাকৃতির
খিলানযুক্ত
তোরণপথ
দিয়ে
(প্রবেশপথ)
পূর্বমুখী
এই
প্রাসাদ
চত্বরে
প্রবেশ
করতে
হয়। দেশে
এ
ধরনের
প্রবেশ
তোরণ
দুর্লভ। তোরণটি
প্রাচীন
গ্রিকের
তিনটি
ক্ল্যাসিক্যাল
স্থাপত্যশৈলীর
অন্যতম
ডরিক
অর্ডারে
নির্মিত। তোরণটি
মোট
আটটি
থামের
ওপর
দাঁড়িয়ে। আর
মাঝে
অর্ধবৃত্তাকার
খিলানপথ। এ
তোরণ
সে
সময়ে
অর্থ
ও
প্রতিপত্তির
তীব্র
বহিঃপ্রকাশ
ছিল। এই
তোরণের
কারণেই