চট্টগ্রামের ঔপনিবেশিক ইমারত

আরেফিন আবীর

বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে সামান্য ভেতরে কর্ণফুলী নদীর ডান তীরে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বন্দরগুলোর একটি চট্টগ্রাম পশ্চিম থেকে আরব আর পূর্ব থেকে চৈনিক বণিকরা আকৃষ্ট হয় বন্দরের প্রতি চট্টগ্রামের ভূরাজনৈতিক অবস্থান প্রতিটি ক্ষেত্রে বাইরের আক্রমণকারী ভাগ্যান্বেষীদের ডেকে এনেছে বিভিন্ন বিদেশী শক্তির বাণিজ্য বিস্তারের ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো ইউরোপীয়রা চট্টগ্রামে আসে ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে তখন চট্টগ্রামের মাটিতে পা রাখা জোয়াও কোয়েলহো ছিলেন একজন পর্তুগিজ জাহাজের ক্যাপ্টেন ফেরনাও পেরেস দ্য আন্দ্রেদার বার্তাবাহক কোয়েলহোর পর তার দেখানো পথ ধরে চট্টগ্রামে এসেছিলেন জোয়াও দ্য সিলভেরাও তখন পর্তুগিজ বণিকরা বিশ্রামের জন্য বাংলার সুলতানের কাছে একটি স্থাপত্য নির্মাণের আবেদন করেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে উপসাগরে জলদস্যুতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের আশ্রয়স্থল তৈরির প্রচেষ্টা বাংলার সুলতান মেনে নেননি এর প্রায় এক দশক পরে মার্টিম আফন্সো দ্য মিলো ১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে সন্দ্বীপের গহিন এলাকায় একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা গেছে

এরপর ১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দের পর বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বদল লক্ষ করা গেছে তখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিয়ে সুলতান মাহমুদ শাহ্ পর্তুগিজদের চট্টগ্রামে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন নুনো ফার্নান্দেজ ফ্রিয়ার তখন নির্মিত ওই কাস্টম হাউজের প্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন সময়কালের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের ঔপনিবেশিক স্থাপত্যগুলো দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে প্রথমটাকে প্রাক-ঔপনিবেশিক, পরেরগুলোকে পরবর্তী ঔপনিবেশিক যুগের স্থাপত্য হিসেবে চিহ্নিত করা যায় চট্টগ্রামে প্রাপ্ত সময়কালের স্থাপত্যের স্থাপত্যিক শৈলী এবং অলংকরণ সুস্পষ্টভাবে সমসাময়িক ইউরোপীয় ঐতিহ্যের অনুসারী তবে ধরনের ভবনের সংখ্যা খুব বেশি নয় পাশাপাশি তাদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যও অপ্রতুল

১৮৮৭ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত তৈরি ৪১টি ভবন ইমারত রয়েছে চট্টগ্রামে ফলে ঔপনিবেশিক যুগের স্থাপত্যের গবেষণার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বিশেষ করে অনেক ভবন রয়েছে গণপূর্ত বিভাগের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, যা তালিকায় ঠাঁই পায় না অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ে পুরনো দস্তাবেজ অত্যন্ত যত্নে রক্ষিত তখন নির্মিত প্রাচীন ভবনগুলোর অনেক আদি নকশাও অতি সতর্কতার সঙ্গে সেখানে সংরক্ষিত বলে জানা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন