ঔপনিবেশিক যুগে রাজধানীর স্কুল

আবদুল কাউয়ুম মালেক

মেকুলের মিনিটস অব এডুকেশন প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ভারতবর্ষের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা শুরু হয় তখন ভারতবর্ষের নানা স্থনের পাশাপাশি বাংলায়ও প্রতিষ্ঠিত হয় অনেকগুলো স্কুল স্থাপনা ভারতবর্ষের নানা স্থানের মতো ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত স্কুলের সাধারণ বৈশিষ্ট্য অনেকটা কাছাকাছি এগুলো বেশ ঠাসাঠাসি অবস্থায় নির্মিত এখানকার মূল বিল্ডিংগুলো প্রাথমিকভাবে কুঠি হিসেবে তৈরি হয়েছিল বলে এগুলোর মধ্যে প্রায় একই রকম বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় প্রাথমিকভাবে সব স্কুল বিল্ডিংই অভিজাত শ্রেণীর আবাসস্থল বা কুঠি ছিল এই বিল্ডিংগুলোর নিচতলা ব্যবহূত হতো প্রধানত গুদামঘর হিসেবে তবে পরবর্তীকালে বাসস্থান হিসেবে এবং দ্বিতীয় তলা শুধু বসবাসের জন্যই ব্যবহূত হতো মূল দালান দিয়ে মূল অক্ষে প্রবেশের জন্য যে ব্যবস্থা রাখা হয় তার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় হল কক্ষে আলো-বাতাসের চলাচলেরও ব্যবস্থা ছিল

ঔপনিবেশিক যুগে নির্মিত স্কুলের কেন্দ্রীয় হলঘরটি একটা সময়ে ছিল কুঠির সভাকক্ষ এর অন্য রুমগুলো হলঘরের চারদিকে অবস্থিত ভবনগুলো স্কুলের পাঠদান বাদেও বিবিধ কাজে ব্যবহূত হতো ভবনগুলোই বর্তমানে ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহূত তবে কেন্দ্রীয় হলঘরের সঙ্গে অন্য হলগুলোর যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল তবে যোগাযোগ গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এক ঘর থেকে অন্য ঘরের ভেতরটা যেন দেখা না যায় সে ব্যবস্থাও ছিল সেকেন্ডারি হলের চতুর্দিকে গৃহকর্মের জন্য গুচ্ছবদ্ধ কক্ষ ছিল

পরবর্তীকালে বিল্ডিংয়ে বিভিন্ন ব্লক তৈরির ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক বিল্ডিংয়ের আকার, অনুপাত বা পরিমাপের কোনো কিছুই অনুসৃত হয়নি এজন্য এসব ইমারত পরবর্তীকালে শুধু অফিস বিল্ডিংয়ের রূপ পরিগ্রহ করে এবং মূল ভবনের সঙ্গে এগুলোর কোনো যোগসূত্র ছিল না

ভূমি নকশা: প্রধান ঔপনিবেশিক বিল্ডিং নির্বাচিত স্থানের মধ্যখানে অবস্থিত ভূমির আকার আকৃতিতে এক ধরনের জটিলতা বিদ্যমান প্রধান ঔপনিবেশিক বিল্ডিংয়ের চারদিকে অনেক খোলা জায়গা আছে বিল্ডিংয়ের সামনের ফাসাদকে বিশিষ্টতা দান করার এবং সৌন্দর্যময়তা বৃদ্ধি করার জন্য ভূমি নকশা প্রণয়নে যত্নবান হওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষণীয় এভাবে স্কুলগুলোতে একধরনের নাটকীয়তা মহিমান্বিত রূপের সৃষ্টি হয় বিল্ডিংয়ের পার্শ্ব ফাসাদ বিশেষ করে পেছনের বামদিকের অংশে অলংকরণ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন