বর্তমান বাংলাদেশে প্রাপ্ত গির্জার প্রারম্ভিক স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করতে হলে বিদেশী নির্মাণশৈলীর পাশাপাশি তার ওপর স্থানীয় প্রভাব বিশ্লেষণ করা জরুরি। বিশেষ করে বাংলা ও ভারতবর্ষে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের পটভূমি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানীয় রীতি-নীতি, নির্মাণ পদ্ধতি এবং নির্মাণ সামগ্রী, জলবায়ু, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা প্রভৃতিও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ সম্পর্কে সম্যক উপলব্ধি বিশেষ প্রয়োজন। ঔপনিবেশিক বাংলায় নির্মিত কয়েকটি গির্জার তুলনামূলক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এ দেশের প্রাথমিক গির্জাগুলোর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এর গঠনশৈলী ও বাংলার পরিবেশকে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা জরুরি। আমরা জানি, মৌসুমি জলবায়ু দ্বারা প্রভাবিত বাংলাদেশ তথা বাংলায় আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত জলবায়ুর প্রধানতম উপাদান। এ জলবায়ু ও পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষভাবে দেশজ স্থাপত্যকে প্রভাবিত করে। তুলনামূলকভাবে উচ্চমাত্রার আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাতের কারণে এখানকার কক্ষ পরিকল্পনায় আড়াআড়ি বায়ু চলাচল ও বৃষ্টি প্রতিরোধক ব্যবস্থা রাখতে হয়। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মসজিদ স্থানের মতো গির্জায়ও এই বিশেষ পরিকল্পনা লক্ষ করা গেছে।
আমরা জানি, বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ থেকে এবং শীতকালে উত্তর থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়। ফলে এ দেশে আয়তাকার ভূমি নকশায় নির্মিত কক্ষের বৃহত্তর দিক পূর্ব-পশ্চিম অক্ষ বরাবর রাখা হয়। পাশাপাশি আড়াআড়ি বায়ু চলাচলের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্ব খোলা রাখা হয়। অন্যদিকে বাংলার দেশজ স্থাপত্য রীতি ও স্থানীয় নির্মাণ উপাদান ঔপনিবেশিক যুগে নির্মিত গির্জাগুলোক প্রভাবিত করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয়, প্রধান নির্মাণ উপাদান হিসেবে ইটই দেয়াল নির্মাণের একমাত্র উপকরণরূপে ব্যবহূত হয়েছে। তবে স্থানীয় গির্জা নির্মাণের ক্ষেত্রে ট্র্যাবিয়েট পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে, যা সহজভাবে বোঝাতে গেলে ছাদ নির্মাণে আনুভূমিক কড়ি, বর্গা ও উলম্ব পিলার যুক্ত হয়েছে। খিলান, টারেট, কার্নিশ ও প্লাস্টারযুক্ত সমতল দেয়ালের গায়ে জ্যামিতিক নকশার অলংকরণ দেখা যায়। বাংলাদেশে নির্মিত গির্জাগুলোর সামনের অলংকরণকেও বহুলাংশে প্রভাবিত করেছে স্থানীয় শৈলী। বাংলাদেশের নানা এলাকায় ক্যাথলিক যাজকরা সর্বপ্রথম গির্জা নির্মাণ শুরু করেছিলেন। তবে তাদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা না থাকায় তা ইউরোপীয় গির্জাগুলোর চাকচিক্য লাভ করেনি। ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত প্রথম গির্জা হিসেবে সেন্ট নিকোলাস টলেন্টিনোর গির্জার কথা বলা যায়। এ গির্জার স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করা গেলে বাংলাদেশে প্রাথমিক দিকে বিশেষত ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত গির্জা স্থাপত্যের স্বরূপ সন্ধান করা সম্ভব হবে।
ঢাকার অদূরে অবস্থিত গাজীপুরের গুরুত্ব স্যাটেলাইট টাউন হিসেবে সর্বাধিক। বিশেষ করে সময়ের আবর্তে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখানে অবস্থিত। পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও আ??
