মুসলিম ও ইউরোপীয় স্থাপত্যিক উপকরণে তৈরি আহসান মঞ্জিল

ড. সৈয়দ মাহমুদুল হাসান

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ঊনবিংশ বিংশ শতাব্দীতে ঢাকায় বেশ কয়েকটি জমিদার বাড়ি নির্মিত হয়। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঢাকার নবাবদের নির্মিত আহসান মঞ্জিল। এছাড়া হিন্দু জমিদাররা ঢাকায় অনিন্দ্যসুন্দর অট্টালিকা নির্মাণ করেন। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্যরেবতীমোহন দাস ভবন, মথুর নায়েব চক্রবর্তীর ভবন, যতীন্দ্র কুমার শাহের ভবন, রূপলাল হাউজ, হূষীকেশ দাসের বাগান (রোজ গার্ডেন), শঙ্খনিধি হাউজ, ভজহরী লজ (বর্তমানে সলিমুল্লাহ কলেজ)

সূত্রাপুর বাজার থেকে যে রাস্তাটা ডালপট্টির একরামপুর পর্যন্ত চলে গেছে, তার ডান পাশে তাকালে ঊনবিংশ শতাব্দীতে গ্রিক কলাম ব্যবহূত একটি ত্রিতল জমিদারি ভবন দেখা যাবে। রেবতীমোহন লজ নামে অনিন্দ্যসুন্দর ইমারতটি ভগ্নাবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে সরকারের দখলে ইমারতটিতে সিভিল ডিফেন্সের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া মদনমোহন বসাক, যা বর্তমানে টিপু সুলতান রোডে যে বিশালাকার অট্টালিকা রয়েছে, তা নির্মাণ করেন জমিদার ভজহরী। ইউরোপীয় স্থাপত্যের প্রভাব দেখা যাবে ইমারতে।

. আহসান মঞ্জিল জাদুঘর, ঊনবিংশ শতাব্দী

বুড়িগঙ্গার উত্তর তীরে ঢাকার সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় আহসান মঞ্জিল অবস্থিত। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কুমারটুলি এলাকায় ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ জমিদারের সদর দপ্তর। ইসলামপুর হয়ে ওয়াইজঘাট এবং ব্যাকল্যান্ড বাঁধ দিয়ে আহসান মঞ্জিলে যাওয়া যায়। এছাড়া ইসলামপুরের নবাববাড়ি গেটের ভেতর দিয়ে যেসব গলি আছে, তা দিয়েও আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে প্রবেশ করা যায়। এক সময় এখানে ফরাসিদের একটি কুঠি ছিল। ১৮৩৮ সালে খাজা আলিমউল্লাহ কুঠি কিনে নেন। তিনি খাজা স্যার সলিমুল্লাহর দাদা ছিলেন। বর্তমান আহসান মঞ্জিলটি ছিল ভগ্নপ্রাপ্ত ফরাসিকুঠি এবং ১৮৭২ সালে নবাব স্যার আবদুল গণি এটি নির্মাণ করেন। তার ছেলে নবাব স্যার আহসানউল্লাহর নাম থেকে এটি নাম রাখেন আহসান মঞ্জিল। ১৮৮৮ সালে আহসান মঞ্জিল টনের্ডোয় ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এটি জাদুঘর।

আহসান মঞ্জিলের ইতিহাস খুব প্রাচীন। কথিত আছে,

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন