বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলায় বুয়েট শিক্ষার্থী এএসএম নাজমুস সাদাত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর কাছে তিনি এ জবানবন্দি করার পর কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান এ আসামিকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।
মামলাটিতে গত ১৬ অক্টোবর এ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তিনি স্বীকারোক্তি প্রদান করলেন।
গত ১৬ অক্টোবর রিমান্ড শুনানিকালে নাজমুস সাদাত বিচারকের জিজ্ঞাসায় বলেছিলেন, তিনি তার ‘বড় ভাইদের’ কথায় আবাররকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যান। তিনি আবরারকে মারেননি। ‘বড়ভাই কারা’ বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘বড় ভাই হলেন অনিক, সকাল, মুজাহিদ ও রবিন মনির। তারাই আবরারকে পিটিয়েছেন।’
সাদাত বুয়েটের ম্যাকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি জয়পুরহাট জেলার সদর থানার কড়ই উত্তর পাড়ার মো. হাফিজুর রহমানের ছেলে।
এনিয়ে মামলাটিতে ৮ জন শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। অপর সাত জন হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে কারাগারে গেছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী সাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মিজানুর রহমান, শামীম বিল্লাহ ও মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা।
উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।