স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা কাওসারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

তিতাসের সাবেক এমডির ব্যাংক হিসাব তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসারের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে হিসাব জব্দের জন্য পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর না করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, মোল্লা আবু কাউসার, তার স্ত্রী পারভীন লুনা, মেয়ে নুজহাত নাদিয়া নিলা এবং তাদের প্রতিষ্ঠান ফাইন পাওয়ার সলিউশন লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি নির্দেশ দেয়া হয়েছে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, যুবলীগ নেতা কেএম মাসুদুর রহমান, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজান ও তারেকুজ্জামান রাজিব এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধান এবং জব্দেরও।

এর আগে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, নুরন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, সেলিম প্রধান, জিকে শামীম, খালেদসহ বেশ কয়েকজন এবং তাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

তিতাসের সাবেক এমডির ব্যাংক হিসাব তলব

তিতাসের সাবেক এমডি প্রকৌশলী মীর মসিউর রহমানের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৯ অক্টোবর ব্যাংকগুলোর কাছে দেয়া চিঠিতে মীর মসিউর রহমানের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে, ২ নং কেএস দাস লেন, টিকাটুলী, ঢাকা। তিতাসের সাবেক এ এমডির দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের জন্যই ব্যাংক হিসাব ও লেনদেন, ক্রেডিট কার্ড, ডিপিএস, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য সম্পদের তথ্য ২৪ অক্টোবরের মধ্যে দুদকে জমা দিতে ব্যাংকগুলোর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

একইভাবে তিতাসের ব্যবস্থাপক মো. আতোর আলী, উপব্যবস্থাপক মো. আবু কাওছার, মো. ফয়জুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ইদ্রিস আলী মিয়া, কারিগরি কর্মকর্তা তাপস কুমার দে, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ফরাজী, সুপারভাইজার কাজী সাজ্জাদ হোসেন মিন্টু ও সহকারী হিসাব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনেরও সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে এদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিঠি দিয়ে যে কারো সম্পদের তথ্য জানতে চাওয়া দুদকের রুটিন কাজ হলেও সম্প্রতি এ তত্পরতা বেশ বেড়েছে। সরকারি সেবা ও কাজে স্বচ্ছতা আনতে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের তথ্য উদ্ঘাটনে জোর দিচ্ছে দুদক। এজন্যই ব্যাংকগুলোয় প্রতিদিনই কোনো না কোনো চিঠি পাঠাচ্ছে কমিশন। গত এক সপ্তাহে দেশের সবক’টি তফসিলি ব্যাংকের কাছে অন্তত দুই ডজন সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন