যুবলীগের পদচ্যুত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে তার স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ১১৬ ধারার ক্ষমতাবলে সম্প্রতি এনবিআর এ আদেশ দিয়েছে। এর ফলে ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না।
ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে এনবিআর বলেছে, ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির আহমেদ চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না। এছাড়া তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লেকভিউ প্রপার্টিজ ও রাও কনস্ট্রাকশনের হিসাবের লেনদেনও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ওমর ফারুক চৌধুরীর এনআইডির (১৯৫৩২৬৯১৬৪৯১১০০৩৯) নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। তার পরিবারের অন্য সদস্যদেরও এনআইডি নম্বর উল্লেখ করেছে এনবিআর। চিঠিতে তাদের বর্তমান ঠিকানা দেয়া হয়েছে ধানমন্ডির ৮/এ সড়কের ইস্টার্ন হেরিটেজের ১০২ নম্বর ফ্ল্যাট, রমনার বঙ্গবন্ধু এভিনিউর ৪৫ নম্বর বাসা এবং চট্টগ্রামের রাউজানের সূত্রাপুর।
এর আগে ৩ অক্টোবর ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার নামে থাকা সব হিসাবের লেনদেন তথ্য, বিবরণীসহ সম্পদের হিসাব পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয়া হয়।
চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যুবলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলবের পাশাপাশি তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা রয়েছে। এ অভিযানের শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। পরে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে তিনি বলেছিলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে, তাকেই বহিষ্কার করা হবে। সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাংক হিসাব তলব ও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার পর থেকে প্রকাশ্যে আসেননি তিনি।
