ভোলার বোরহানউদ্দিনে রোববার সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এছাড়া মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করার অভিযোগে বিপ্লব চন্দ্র শুভ, ইমন ও শাকিল নামে তিন ব্যক্তিকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে স্থানীয় এমপি, ডিসি, এসপি, থানার ওসি ও বরিশাল পুলিশের ডিআইজির উপস্থিতিতে প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন স্থানীয় আলেম নেতারা। বৈঠকে তাদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। গতকাল বেলা ১১টায় স্থানীয় প্রেস ক্লাবে ‘সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আবারো এসব দাবি উত্থাপন করে তা বাস্তবায়নের জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরেও ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে। শহরের অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থল বোরহানউদ্দিনেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের বক্তব্য, সনাতন ধর্মাবলম্বী এক যুবক শুক্রবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তার অভিযোগ, ফেসবুক আইডি ‘বিপ্লব চন্দ্র শুভ’ হ্যাক করা হয়েছে। জিডি করার সময় থানায় অবস্থানকালেই তার কাছে এক ব্যক্তি ফোন করে চাঁদা দাবি করে। স্থানীয় ওসি বিষয়টি তত্ক্ষণাৎ ভোলার পুলিশ সুপারকে জানান। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সেদিন রাতের মধ্যেই বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্যর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাককারী ও কল দিয়ে চাঁদা দাবি করা শাকিল ও ইমন নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
ওই যুবকের আইডি থেকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে রোববার বেলা ১১টায় স্থানীয় একটি ঈদগাহ মাঠে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমাবেশ না করার অনুরোধ জানানো হলে একপর্যায়ে পুলিশের ওপরেই চড়াও হয় সমবেত বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে চারজনের মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে দুজনের মাথায় ভোঁতা 
