বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশে দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয়। বাংলাদেশ আজ খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে। সেখান থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আর তা না হলে দুর্বৃত্তরা আবার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্ট আয়োজিত ‘দুর্নীতি দমনে সরকারের পদক্ষেপ ও নাগরিকের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ অবজারভার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশ অকার্যকর হওয়ার সব সম্ভাবনা আমরা দেখেছি। এখন দেখছি বাংলাদেশ সম্ভাবনায় দেশ। উন্নয়ন যেখানেই হয়েছে সেখানেই এক ধরনের দুর্নীতি বা অপচয় হয়। বাংলাদেশেও কিছু দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপচয় হওয়াটা স্বাভাবিক। দুর্নীতি রোধ করার মূল দায়িত্ব সরকার, রাজনীতি ও সুশীল সমাজের। সরকার তার দায়িত্ব পালন করছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার দেশের গরিব মানুষেরা দুর্নীতি করে না, দুর্নীত করে ধনীরা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিন্তু দুর্নীতিমুক্ত হতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজের দলের ভেতর থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযান রুখতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সম্প্রতি রাশেদ খান মেনন নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দিয়ে তিনি দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে আঘাত করার চেষ্টা করছেন। আবরার হত্যা, ভোলায় গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা—এগুলোর মাধ্যমে একটি চক্র দুর্নীতিবিরোধী অভিযান বন্ধের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এসব বিভ্রান্তিকর ষড়যন্ত্র যদি প্রতিহত করতে না পারি, তা হলে এ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়বে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আগামী পাঁচ বছরে ৮৫ শতাংশ উন্নয়ন হবে ২০টি দেশে। যেখানে বাংলাদেশের নাম রয়েছে। আমরা দেখেছি স্বাধীনতার আগে চার কোটি মানুষের খাবার জোগাড় করতে পারতাম না। আজ প্রায় ১৭ কোটি মানুষ, তবুও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই যে বিশাল উন্নতি, এটা অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি রুখতে হবে।
সেমিনারের সভাপতি বাংলাদেশ পোস্ট সম্পাদক শরীফ শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশ আগে কখনই এত বেশি এগোয়নি।