রংপুর অঞ্চলে আসন্ন বোরো মৌসুমে ৩ হাজার ২৪৮ দশমিক ৫৮৩ টন ধানের বীজ বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। একই সঙ্গে গত বছরের চেয়ে এবার উচ্চফলনশীল জাতের (উফশী) প্রতি কেজি বীজে কৃষক পর্যায়ে দাম কমানো হয়েছে ১৩ টাকা। এরই মধ্যে ৬ অক্টোবর থেকে এ বীজ বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিএডিসি রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালকের (বীজ বিপণন) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার উফশী জাতের বিআর ১৪, ১৬, ব্রি ২৮, ২৯, ৫০, ৫৮, ৭৪, ৮১, ৮৪ ও নেরিকা এবং হাইব্রিড জাতের এসএল ৮ এইচ বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কৃষক পর্যায়ে এবার প্রতি কেজি উফশী জাতের বীজ বিক্রি হবে ৩৭ টাকা দরে। গত বছর যা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। তবে হাইব্রিড জাতের দাম গত বছরের মতোই প্রতি কেজি ২৩০ টাকায় বিক্রি হবে।
এ বছর অঞ্চলটিতে বরাদ্দকৃত মোট ৩ হাজার ২৪৮ টন বোরো বীজের মধ্যে বিএডিসির ১৩টি বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হবে ৩৬৫ দশমিক ২০০ টন। কৃষকরা এসব কেন্দ্র থেকে সরাসরি বীজ কিনতে পারবেন। অন্যদিকে বাকি ২ হাজার ৮৮৩ টন বীজ পাঁচ জেলার ৭৩২ জন নিবন্ধিত ডিলারের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
এদিকে বিক্রির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত দুই সপ্তাহে প্রায় ১০ টন বীজ বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে উফশী জাতের বীজের দাম কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে অঞ্চলটির অধিকাংশ নিচু জমিতে এখনো আমন ধান থাকায় বোরো আবাদের প্রস্তুতি ভালোভাবে শুরু হয়নি। পূর্ণাঙ্গভাবে বোরোর আবাদ শুরু ও জমি তৈরিতে আরো প্রায় এক মাস সময় লাগবে।
বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন রংপুরের সভাপতি এইচএম ইয়াসির বলেন, সরকার এ বছর বীজের দাম কমিয়েছে। আশা করছি, কৃষকরা বিএডিসির ধানবীজ রোপণে উৎসাহী হবেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখনো এ অঞ্চলের নিচু জমিগুলোয় আমন ধানের আবাদ আছে। তাছাড়া কৃষকরা সাধারণত নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বোরো ধানের আবাদ করেন। তাই অধিকংশ ডিলারই কৃষকের মধ্যে বীজের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বীজ উত্তোলন করবেন।
নীলফামারী সদর উপজেলার চরাইখোলা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহিম বসুনিয়া বলেন, তিনি এখন জমির আমন ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত। তবে ১৫-২০ দিন পর বোরো বীজতলা তৈরিতে
