দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বার্লি চাষের সম্ভাবনা

প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভৌগোলিক অবস্থান ও বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ অবস্থার কারণে খরা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা ইত্যাদির ন্যায় প্রতিকূল পরিবেশের প্রভাব বাড়ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ফসলের উন্নয়ন, জাত উদ্ভাবন ও আবাদ সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। পরিবর্তিত প্রতিকূল পরিবেশের একটি হচ্ছে জমির লবণাক্ততা বৃদ্ধি। বাংলাদেশের সমুদ্রতীরবর্তী প্রায় ১০ দশমিক ৬ লাখ হেক্টর জমি লবণাক্ত। লবণাক্ততা সহনশীলতার দিক থেকে দানাজাতীয় শস্যের মধ্যে বার্লি অন্যতম, যা দক্ষিণাঞ্চলের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক শস্য।

কৃষি বাংলাদেশের প্রধান আয়ের উৎস। এর ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠছে নানা রকম শিল্প-কারখানা। এ দেশের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে কমছে আবাদযোগ্য কৃষিজমির পরিমাণ। সেই সঙ্গে বেশির ভাগ ফসলই রবি মৌসুমে স্বল্প জায়গায় প্রতিযোগিতা করে উৎপাদন করা হয়। এতে শস্য পরিক্রমা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব এরই মধ্যে আলু ও গম চাষে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ পরিবর্তিত জলবায়ু মোকাবেলার জন্য আমাদের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে পরিবর্তিত প্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী ফসল চাষ, ফসলের জাত উদ্ভাবন ও এর আবাদ সম্প্রসারণ। এসব ফসলের মধ্যে বার্লি, চিনা, কাউন, সরগম প্রভৃতি গৌন দানাদার ফসলের অন্যতম, যদিও এগুলোর আবাদ অত্যন্ত কম এবং অবহেলিতও বটে। ধান, গম, ভুট্টা, সবজি প্রভৃতির মতো উচ্চফলনশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক শস্যের সঙ্গে গৌণ ফসল প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না বিধায় কৃষকের মধ্যে এসব ফসলের ব্যাপারে আগ্রহ কম।

বার্লি আমাদের দেশের গৌণ দানাজাতীয় ফসল। দানাজাতীয় শস্য হিসেবে বার্লি বিশ্বে চতুর্থ। গম, ধান, ভুট্টার পরে এর স্থান। বাংলাদেশে গৌণ দানাজাতীয় শস্যগুলো আদিকাল থেকেই চাষাবাদ হয়ে আসছে। এসব শস্য স্বল্প ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করা যায় এবং এগুলো খুবই পুষ্টি ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। বার্লির উন্নত জাত উদ্ভাবনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) গবেষণা করে আসছে।

প্রতিকূল পরিবেশে বার্লি


পরিবর্তিত প্রতিকূল পরিবেশের একটি হচ্ছে জমির লবণাক্ততা বৃদ্ধি। লবণাক?

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন