সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিশু তুহিন হত্যা মামলায় বাবা ও দুই চাচার আবারো রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে বাবা আব্দুল বাছিরের পাঁচদিন ও দুই চাচা আব্দুল মছব্বির ও জমশেদ মিয়ার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টায় দিরাই আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তিনদিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার বিকালে তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ওইদিন কোনো আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। পরে আদালত তিনজনকেই জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। গতকাল আবারো তিনজন আসামিকে আদালতে হাজির করেন দিরাই থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আবু তাহের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনের সাতদিন করে সময় চান এসআই আবু তাহের। শুনানি শেষে আদালত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের পাঁচদিন ও দুই চাচা আব্দুল মছব্বির ও জমশেদ মিয়ার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সুনামগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর আশেক সুজা মামুন জানান, আদালত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরকে পাঁচদিন ও দুই চাচার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনদিনের রিমান্ড শেষে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরসহ দুই চাচাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো দিরাই থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর রোববার রাতে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে গলা, কান ও যৌনাঙ্গ কেটে হত্যা করা হয়। খুনিরা তুহিনের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে বাড়ির পাশে কদম গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। ওইদিনই দুপুরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাছির মিয়া, জাকিরুল, তুহিনের চাচি ও চাচাতো ভাই মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে শাহিরয়ার এবং চাচাতো বোনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের তিন সদস্যের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পায় পুলিশ।