শীর্ষ গম রফতানিকারকদের তালিকা থেকে ছিটকে পড়ছে অস্ট্রেলিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

বছর কয়েক আগেও গম উৎপাদন রফতানিতে অন্যতম শীর্ষদের তালিকায় ছিল অস্ট্রেলিয়া। খাদ্যশস্যটির বৈশ্বিক সরবরাহের বড় অংশই আসত দেশটি থেকে। কিন্তু শীর্ষ তালিকায় থাকার সেই তকমা ধরে রাখার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে খরা। টানা তিন বছরের তীব্র খরার কবলে দেশটির গম উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ফলে রফতানিতে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে অস্ট্রেলিয়া। খবর রয়টার্স। 

দীর্ঘদিন ধরে খরা মোকাবেলা করে গম উৎপাদন করতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধিতে এসব উদ্যোগ কোনো কাজে আসছে না। উল্টো দেশটির উৎপাদন কমতির দিকে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় কোটি ১৮ লাখ টন গম উৎপাদন হয়েছে। সময় দেশটি বৈশ্বিক গমের ১২ শতাংশ এককভাবে সরবরাহ করেছে। যার মধ্য দিয়ে তৃতীয় শীর্ষ গম রফতানিকারক হিসেবে অবস্থান ধরে রাখে দেশটি।

কিন্তু খরার কারণে এরপর থেকে ক্রমেই উৎপাদন রফতানিতে নিজেদের জায়গা হারাতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ইউএসডিএ এরই মধ্যে ২০১৯-২০ মৌসুমে গম উৎপাদন প্রাক্কলনের তুলনায় ১০ লাখ টন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়েছে। সময় দেশটির উৎপাদন দাঁড়াতে পারে কোটি ৮০ লাখ টনে। যেখানে এর আগের মৌসুমে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল কোটি ৭৩ লাখ টন, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেই হিসাবে চলতি মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস মিলছে।

এদিকে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং খরার কারণে নিম্নমানের গম উৎপাদন হওয়ায় রফতানি কমে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। আর বৈশ্বিক রফতানিতে অস্ট্রেলিয়ার পিছিয়ে পড়ায় অন্য প্রতিযোগী দেশগুলো লাভবান হচ্ছে। বিশেষ করে এশিয়ায় উল্লেখযোগ্য গম রফতানি করত অস্ট্রেলিয়া। যে বাজার এখন আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, কানাডার মতো দেশগুলোর দখলে চলে যাচ্ছে। ফলে রফতানি সমীকরণে এসব দেশের পেছনে পড়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গম রফতানি কমে ৯০ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। যেখানে দুই বছর আগেও দেশটির রফতানির পরিমাণ ছিল কোটি ২৬ লাখ টন। আর গত বছর বৈশ্বিক গম রফতানিতে দেশটির হিস্যা কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক শতাংশ, যা ৬০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে ইউএসডিএ তাদের প্রাক্কলনে বলছে, চলতি মৌসুমে বৈশ্বিক গম রফতানিতে দেশটির হিস্যা বেড়ে দশমিক শতাংশ হতে পারে।

এক বছর আগেও অস্ট্রেলিয়ার গম রফতানির শীর্ষ বাজার ছিল ইন্দোনেশিয়া। টানা ১৫ বছর ধরে দেশটিতে শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখলেও খরার কারণে সেটি কমে আসে। বিশেষ করে গমের মান খারাপ হওয়ায় দেশটি থেকে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এর বিকল্প হিসেবে গম সরবরাহে দ্বিতীয় শীর্ষ তালিকায় থাকা কানাডা থেকে আমদানি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি আর্জেন্টিনা থেকেও উল্লেখযোগ্য গম আমদানি বাড়িয়েছে দেশটি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও দেশটিতে রেকর্ড পরিমাণ গম রফতানি করেছে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গম রফতানির পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৮০ হাজার টন। ফলে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি কমলেও ইন্দোনেশিয়ার ওপর এটির কোনো প্রভাব পড়েনি। একইভাবে এশিয়ার অন্যান্য দেশেও অস্ট্রেলিয়ার গম রফতানি কমে যাওয়ায় রাশিয়া, ইউক্রেনসহ কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলগুলোর বাজার প্রসারিত হচ্ছে।

এদিকে খুব তাড়াতাড়ি অস্ট্রেলিয়ার গম উৎপাদন রফতানিতে সুদিন দেখছেন না খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ এক বছর আগেও প্রধান গম উৎপাদন অঞ্চল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় কম বৃষ্টিপাত খরা বিদ্যামান ছিল। কিন্তু এখন খরার ব্যাপ্তি সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত কমে গিয়ে তাপমাত্রা আরো খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে পশ্চিম

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন