বছরের তৃতীয় প্রান্তিক

ভ্যালের আকরিক লোহা উত্তোলন কমেছে ১৭.৪%

বণিক বার্তা ডেস্ক

দুর্ঘটনার রেশ ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে ব্রাজিলের বহুজাতিক কোম্পানি বিশ্বের শীর্ষ আকরিক লোহা উত্তোলনকারী খনি সংস্থা ভ্যালে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির আকরিক লোহা উত্তোলন আগের প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যবহারিক ধাতুটির উত্তোলন এখনো কমতির দিকে। সম্প্রতি ভ্যালে কর্তৃপক্ষ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স মাইনিং ডটকম।

ভ্যালের তথ্য অনুযায়ী, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে খনিজ কোম্পানিটি সব মিলিয়ে কোটি ৬৭ লাখ হাজার টন আকরিক লোহা উত্তোলন করেছে, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় দুই-তৃতীয়াংশ বেশি। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক শতাংশ কম।

বাঁধ দুর্ঘটনার পর ব্রুকুটু কূপ থেকে পূর্ণমাত্রায় উত্তোলন সম্ভব হওয়ার জেরে কোম্পানিটির সামগ্রিক আকরিক লোহা উত্তোলন বেড়েছে। ব্রুকুটু ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিনাস গেরাইসে অবস্থিত বৃহত্তম আকরিক লোহার খনি এবং ভার্জেম গ্রান্ড কমপ্লেক্সের একটি অংশ।

ভ্যালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২১ সাল নাগাদ ভার্জেম গ্রান্ড কমপ্লেক্স থেকে ব্যবহারিক ধাতুটির উত্তোলনক্ষমতা পাঁচ কোটি টনে উন্নীত হবে বলে প্রত্যাশা কোম্পানিটির।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ভ্যালের একটি বাঁধ ফেটে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক মারা যান। ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকটি কূপ থেকে আকরিক লোহা উত্তোলন সাময়িক স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ভ্যালে থেকে ধাতুটির উত্তোলন উল্লেখযোগ্যহারে কমে যায়, যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলে। ইস্পাত তৈরির অন্যতম প্রধান কাঁচামাল আকরিক লোহার চাহিদা অনুপাতে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়। এতে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম বেড়ে পাঁচ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছে যায়।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিটিজির বিশ্লেষক লিওনার্দো কোড়িয়া বলেন, কোম্পানিটির বর্তমান আকরিক লোহা উত্তোলনক্ষমতা প্রত্যাশার মধ্যেই রয়েছে। উত্তোলনে ক্রমে প্রবৃদ্ধি প্রমাণ করে, ভ্যালে পূর্ণ কার্যক্রমে ভালোভাবেই এগোচ্ছে; ধারা ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন