২০১৫ সালে জমিজমার বিরোধ নিয়ে ঢাকার জজ কোর্টের আইনজীবীর সহকারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়াকে (৪৫) হত্যার দায়ে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভুলন ভূঁইয়া ওরফে ভুলু, রুহুল আমিন, শিপন মিয়া, সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, বিধান সন্যাসী ও নিলুফা আক্তার। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মামলার অপর দুই পলাতক আসামি তাসলিমা আক্তার, শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুলকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর জয়নাল আবেদীন নামে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মোবারক হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর মৃত ইশাদ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা জজ কোর্টে এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মোবারকের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে আসামিরা মোবারক হোসেনের পেটে বল্লম দিয়ে আঘাত করেন। এতে মোবারক হোসেন মারা যান।
পরদিন মোবারকের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ১৬ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক মকবুল হোসেন মোল্লা।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ১৭ ডিসেম্বর একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। চার্জশিটের ৩১ জন সাক্ষীর বিভিন্ন সময়ে ২৩ জন সাক্ষ্য দেন।
আসামিদের মধ্যে আটজন কারাগারে, একজন জামিনে ও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
