চলতি জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে খুলনা ও সিলেট বিভাগ। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে রাজশাহী বিভাগকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক খুলনা বিভাগ। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। গতকাল চতুর্থ ও শেষ দিনে বাকি দুটো ম্যাচের ফল ড্র হয়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরে ঢাকা ও রংপুর বিভাগের মধ্যকার রান উত্সবের ম্যাচটিতে জেতেনি কোনো দলই। মাত্র এক ইনিংস করে ব্যাটিং শেষ করতে পেরেছে দুই দল। দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ড্র করেছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে পয়েন্ট টেবিলে প্রথম স্তরের শীর্ষস্থানে খুলনা বিভাগ। তাদের সংগ্রহ ১৩.৭ পয়েন্ট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৬.৯৪। তৃতীয় স্থানে অবস্থান করা রংপুরের ঝুলিতে ৫.২২। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা রাজশাহীর সংগ্রহ ৪.৬১ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্তরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বরিশাল। ১১.১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে সিলেট। পরের দুটো স্থানে আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম (৬.৯২) ও মেট্রো (৪.৪৯)।
রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের ভিত আগেই গড়ে ফেলেছিল খুলনা। জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ১২২ রান প্রয়োজন পড়ে তাদের। আগের দিনের ১৫/১ নিয়ে খেলতে নেমে গতকাল সৌম্য সরকারের ব্যাটে সহজেই জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। ৫০ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন সৌম্য। দ্বিতীয় স্তরে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে সিলেট বিভাগও। জয়ের জন্য ২০১ রানের টার্গেটের সামনে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি সিলেটের। ওপেনার তৌফিক খান ১০ রান করে বিদায় নেন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন ইমতিয়াজ হোসেন ও জাকির হাসান। জুটিতে ১৬২ রান যোগ করেন দুজনে। জাকির (৭২) আউট হওয়ার পর আফিফ হোসেনকে (৮*) সঙ্গী
নিয়ে বাকি পথটুকু পাড়ি দেন ইমতিয়াজ। ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন এ ওপেনার।
প্রথম স্তরে ঢাকা-রংপুর ম্যাচের শেষ দিনেও রাজত্ব করেছে ব্যাটসম্যানরা। আগের দিনের ৩৩৪/৫ নিয়ে খেলতে নেমে রংপুরের প্রথম ইনিংস থামে ৫০৮ রানে। শেষ দিনে অবশ্য কোনো সেঞ্চুরি হয়নি। আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান নাইম ইসলাম সাজঘরে ফেরেন ১৩৫ রানে। ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। সঙ্গীর অভাবে তিন অংকের ঘরের নাগাল পাননি তিনি। ফতুল্লায় দ্বিতীয় স্তরে চট্টগ্রাম-বরিশাল বিভাগের ম্যাচটি বেশ জমে উঠেছিল। জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল চট্টগ্রাম। জয়ের জন্য ৩৩৬ রানের চ্যালেঞ্জের সামনে একটা পর্যায়ে মাত্র ১২৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল। তবে মোসাদ্দেক হোসেন ও শামসুল ইসলাম উইকেট আগলে রেখে দলকে ড্র এনে দেন। এ ইনিংসে চট্টগ্রামের পক্ষে ৬০ রান করে দৃঢ়তা দেখান মোহাম্মদ আশরাফুল।
