ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনটি দ্বিশতকের মালিক রোহিত শর্মা। কিন্তু টেস্ট ক্যারিয়ারটাই ছিল নড়বড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে রোহিত যেন নিজেকে নতুন আবিষ্কারের নেশায় মেতেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় রাঁচিতে আগের দিন সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকা রোহিত পেয়েছেন দ্বিশতকও। সেই সঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই ডাবল পাওয়া বিরল এক ক্লাবে নিজের নাম তুলেছেন এ ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস। ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন রোহিত। এর আগে এ কৃতিত্ব ছিল শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র শেবাগ ও ক্রিস গেইলের দখলে। রোহিতের দ্বিশতকের দিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আজিঙ্কা রাহানেও। এ দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৯ উইকেটে ৪৯৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। কিন্তু জবাব দিতে নেমেই এখন বিপর্যয়ের মুখে প্রোটিয়ারা। আগের দিনের মতো আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা থেমে যাওয়ার আগে ৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রাঁচিতে বড় লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৪ রানের মাথায়ই ডেন এলগারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মোহাম্মদ শামী। এরপর আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককেও ৪ রানের মাথায় সাজঘরের পথ দেখান উমেশ যাদব। ৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে তখন বিপর্যয় দেখছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে এক রান যোগ হতেই থেমে যায় খেলা। যা পরে আর শুরু করা সম্ভব না হলে দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন কোহলি ও রাহানে। দলীয় ৩০৬ রানে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয় এ জুটি। ১১৫ রান করা রাহানেকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন জর্জ লিন্ডে। এর মধ্যে অবশ্য দারুণ ব্যাটিংয়ে দ্বিশতকের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন রোহিত। ২৪৯ বলে আদায় করে নেন নিজের ডাবল সেঞ্চুরি। পরে রোহিত থামেন ২১২ রানে। ২৫৫ বলে ২৮ চার ও ৬ ছক্কায় এ রান করেন তিনি। রোহিতের বিদায়ের পর অন্যদের মধ্যে ৫১ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া রানের চাকা বাড়াতে সহায়তা করেন উমেশ যাদবও। ১০ বলে ৫ ছক্কায় করেছেন ৩১ রান। ভারত থামে ৪৯৭ রানে। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন অভিষিক্ত লিন্ডে। এছাড়া ৩ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা।
এএফপি ও ক্রিকইনফো