বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের তিনটি ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়েছে কলেজ প্রশাসন। গত শনিবার রাত ১১টার পর এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় অশ্বিনী কুমার হলের তিনটি কক্ষ সিলগালা করে দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, বিএম কলেজের ছাত্রাবাসে বহিরাগতদের অবস্থান, মাদক সেবন, জুয়ার আসর বসানো এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালায় অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান সিকদারের নেতৃত্বে অশ্বিনী কুমার হল, ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল ও জীবনানন্দ দাশ হলে অভিযান চালায় কলেজ প্রশাসন। এ সময় অশ্বিনী কুমার হলের ‘এ’ ব্লকের ৩০১ ও ৩১০ এবং ‘বি’ ব্লকের ২১৫ নং কক্ষ সিলগালা করে দেয়া হয়।
অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির জানান, ছাত্রাবাসের একাধিক কক্ষ দখল করে বহিরাগতরা মাদক ও জুয়ার আসর বসায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ছাত্রাবাসগুলোয় কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় অশ্বিনী কুমার হলের ‘এ’ ব্লকের ৩০১ ও ৩১০ এবং ‘বি’ ব্লকের ২১৫ নং কক্ষে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাত্ক্ষণিক ওই তিনটি কক্ষ সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। কক্ষগুলোর বাসিন্দারা কেন কক্ষে ছিল না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কক্ষ তিনটি পরে খুলে দেয়া হবে কিনা, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, ওই তিন ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার রাতে অভিযান চালানো হয়। তিনটি ছাত্রাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোনো প্রকার বিঘ্ন না ঘটে এবং প্রভাব খাটিয়ে কেউ যেন ছাত্রাবাসের কক্ষ দখল করতে না পারে।