চীনে চলছে ক্যান্টন ফেয়ারের শরৎ পর্ব

মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাব পড়ার আশঙ্কা

ফায়সাল করিম চীন থেকে

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আমদানি-রফতানি মেলা চীনের ক্যান্টন ফেয়ারের শরত্কালীন পর্বের পর্দা উঠেছে মঙ্গলবার। চীনের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংজুর পাঝৌ ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট  প্রদর্শনী হলে মেলার ১২৬তম আসর বসেছে।

বিশ্বেরমেগা ফেয়ারহিসেবে পরিচিত মেলায় এবার তিনটি ভাগে দেশী-বিদেশী মোট ২৫ হাজার প্রতিষ্ঠান তাদের লাখ ৬০ হাজার পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের সামনে হাজির হয়েছেন বলে জানান আয়োজকরা। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫১টি প্রদর্শনী হলে মোট ১১ লাখ ৮৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ৬০ হাজার স্টল নিয়ে বসেছে এবারের আয়োজন। এতে বিশ্বের ২১০টি দেশের দুই লাখ ক্রেতা অংশ নেবেন বলে আশা করছেন তারা। তবে চলমান চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে গেল বছর থেকে মেলার মোট রফতানি বিক্রয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবারো কিছুটা চাপ অনুভব করছেন আয়োজকরা। মেলার অন্যতম ক্রেতা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধরা হলেও ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান চীন থেকে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হওয়ায় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে মেলার ঘাটতি চীনের এক অঞ্চল এক পথ (ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভ) মহাপরিকল্পনায় অংশ নেয়া দেশগুলো দিয়ে পূরণ হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

মেলার মুখপাত্র শু বিং এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধকে মাথায় রেখে চীন সরকার তাদের এক অঞ্চল এক পথ মহাপরিকল্পনার অংশ থাকা দেশগুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তিনি বলেন, ক্যান্টন মেলাকে আরো বেশি পরিচিত করতে আমরা মহাপরিকল্পনার অংশ থাকা দেশগুলোতে নানা রকম প্রচারণার কাজ চালিয়েছি। এতে তাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তার দেয়া তথ্যমতে, এবার মেলায় অংশ নেয়া সাড়ে ছয়শ বিদেশী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬৭টি কোম্পানি এক অঞ্চল এক পথ মহাপরিকল্পনার আওতায় থাকা দেশগুলো থেকে এসেছে। তাছাড়া প্রতি বছর মেলায় এসব দেশ থেকে ক্রেতার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে বলে জানান তিনি।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত মেলা বরাবরের মতো তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আয়োজকরা জানান, মেলায় তিনটি ভাগে মোট ১৬ ক্যাটাগরির পণ্য প্রদর্শিত হবে। ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মেলা শেষ হবে নভেম্বর। প্রথম ধাপে ১৫ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল লাইটিং সামগ্রী, যন্ত্রাংশ, যানবাহন এর খুচরা অংশ, নির্মাণ, হার্ডওয়্যার, বিদ্যুৎ জ্বালানিসামগ্রী যন্ত্রাংশ, কেমিক্যাল নানা রকম ইলেকট্রনিক সামগ্রীর প্রদর্শনী। পরে ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে মেলার দ্বিতীয় ধাপের পণ্য প্রদর্শনী। সবশেষে ৩১ অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মেলায় শেষ ধাপের পণ্য প্রদর্শনী নিয়ে হাজির হবে চীনসহ বিশ্বের নানা দেশের নামিদামি ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদকরা।

এবারের মেলায় বাংলাদেশী কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ না থাকলেও বরাবরের মতো ভিড় জমিয়েছেন অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। তাদের বেশির ভাগই লাইটিং সামগ্রী, যন্ত্রাংশ, যানবাহন এর খুচরা অংশ এবং

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন