আব্বাস কিয়ারোস্তামির কথা চলচ্চিত্রপ্রেমীরা বিস্মৃত হয়নি। এখনো ইরানের বাইরে দেশে দেশে কিয়ারোস্তামির ছবি নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। কিয়ারোস্তামির সঙ্গে গভীর এক সখ্য গড়ে উঠেছিল বিখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনশের। আব্বাসের সঙ্গে তিনি শেষ কাজ করেন ২০১০ সালে সার্টিফায়েড কপি ছবিতে, কিয়ারোস্তামির ইরানের বাইরে বানানো প্রথম ছবি। এক ব্রিটিশ পুরুষ আর এক ফরাসি নারীর সাক্ষাৎ পরবর্তী ঘটনার গল্প। কান উৎসবের পাল্মে দ’র পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করে ছবিটি।
আব্বাস কিয়ারোস্তামি অভিনয় পছন্দ করতেন না। ফলে বছরের পর বছর অপেশাদার শখের অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করা কিয়ারোস্তামি কীভাবে জুলিয়েট বিনশের মতো পেশাদার এবং প্রখ্যাত একজন অভিনেত্রীকে পরিচালনা করলেন তা কৌতূহলের বিষয়।
বিনশ নিজের ব্যাপারে বলেছেন, অভিনয়ের শুরুতেই তিনি অভিনয় না করার তালিম নিয়েছিলেন, একজন অভিনয়শিল্পীর যে নমনীয়তা দরকার, তিনি তাই রপ্ত করেছেন গোটা অভিনয় জীবনে। কিয়ারোস্তামি কোনো বিনাশকারী না; তিনি একজন ভাস্কর। তিনি একেকটা স্থির ফ্রেম তৈরি করতেন, যা ছাপিয়ে যেত জীবনের আবেগে।
কিয়ারোস্তামির সার্টিফায়েড কপির সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন?
জুলিয়েট বিনশ: আমি গল্পটার কথা প্রথমবার শুনেই পছন্দ করে ফেলি। ভিন্ন ধরনের বাস্তবতা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। কিন্তু আমি যখন চিত্রনাট্য পড়লাম, তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগল—এটা আমি কীভাবে করব? এত পাগলামি, যে ধরনের পাগলামির সঙ্গে আমার একদম পরিচয় নেই। আমি আব্বাসের সঙ্গে কথা বললাম, ওই সময় সে তেহরানে। আমি বললাম, ‘আমি
এ রকম কাউকে চিনি না’। জবাবে সে বলল, ‘কী
বলো তুমি? তুমি নিউরোসিসের কথা জানো, ঠিক সে রকম—বাতিকগ্রস্ত একজন।’
ইরানের চলচ্চিত্রে ইম্প্রোভাইজেশন বেশি, এ রকম একটা কথা প্রচলিত আছে!