চট্টগ্রাম নগরীতে পাশাপাশি দুই মার্কেটে আগুন লেগে অন্তত ১৩২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল পুড়ে গেছে। গতকাল ভোর ৪টার দিকে কোতোয়ালি থানার জুবিলী রোডে পাশাপাশি জহুর হকার্স মার্কেট ও শাহ জালালাবাদ মার্কেটে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোরে নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় প্রথমে শাহ জালালাবাদ মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেই আগুন জালালাবাদ মার্কেটের পাশে পৌর জহুর হকার্স মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভোর পৌনে ৪টায় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ১৯টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। দুটো বিপণিকেন্দ্রের আধাপাকা কাঠামোর ওপর দোতলা গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। উপরের অংশ টিনের ছাউনি দেয়া। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা এবং অপ্রশস্ত সড়কের কারণে চট্টগ্রামের শাহ জালালাবাদ মার্কেট ও জহুর হকার্স মার্কেটে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, মার্কেটটির গলিগুলোর প্রশস্ততা ৬ থেকে ৮ ফুট, যার কারণে ভেতরে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। সেজন্য পার্শ্ববর্তী অন্য দোকানের ছাদে দাঁড়িয়ে পানি ছিটাতে হয়েছে। আমাদের ১৯টি গাড়িতে থাকা পানি ব্যবহারের পর সংলগ্ন দুটি মসজিদের ট্যাংক এবং সবশেষে অদূরে লালদীঘি থেকে পানি এনে আগুন নেভানো হয়।
তিনি আরো জানান, এসব ভবনের কোনো কাঠামো নেই। এ ধরনের ভবন একেবারেই অননুমোদিত কাঠামো। কোথাও সেমিপাকা, উপরে টিনের দোতলা। অনেক ভবন আছে যেগুলো কাঠের কাঠামো দিয়ে বানানো। বৈদ্যুতিক লাইন এলোমেলোভাবে টানা। কাঠামোগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । এ মার্কেট দুটির অগ্নিনির্বাপণের কোনো সরঞ্জাম নেই। এমনকি ফায়ার লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
শাহ জালালাবাদ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাজী আবদুল আজিজ বলেন, আমার মার্কেটের প্রায় ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের মালামাল পুড়ে গেছে। এ মার্কেটের রাস্তা এতটাই সরু যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা এসে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন। তবে আগুনের তীব্রতা থাকার কারণে নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। এদিকে পৌর জহুর হকার্স মার্কেটে আগুনে ২৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ 
