বালাসী-বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট : কাঠামো দাঁড়ায়নি আড়াই বছরেও

শামীম রাহমান

ঘাটে বাঁধা কয়েকটি নৌকা। খানিক দূরে নোঙর করা স্টিমার। পাড়ে সারি সারি করে ফেলে রাখা বিশালাকৃতির মরচে ধরা পাইপ। তার পাশেই চলছে ভবনের নির্মাণকাজ, যেগুলোয় ছাদ ঢালাইয়ের জন্য লোহার কাঠামো তৈরি করছেন দু-তিনজন শ্রমিক। নির্মাণাধীন ভবনটির চারপাশে ফেলে রাখা ইটের স্তূপ। শান্ত ব্রহ্মপুত্রের মতোই ঢিমেতালে চলছে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটের নির্মাণকাজ। ওপারে গাইবান্ধার বালাসী ঘাটের উন্নয়নকাজেও নেই কোনো গতি। আগামী ডিসেম্বরে বালাসী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত ঘাটের কাঠামোই দাঁড়ায়নি।

২০০৪ সাল থেকে বন্ধ দীর্ঘদিনের পুরনো বালাসী-বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট। ২০১৭ সালে ঘাটটি নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। ওই বছরের মার্চে ঘাটটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন তত্কালীন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে বালাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বালাসী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। শুরুতে কথা ছিল গত বছরের (২০১৮) ডিসেম্বরে ঘাটটির কাজ সমাপ্ত হবে, দীর্ঘদিন পর ফের যানবাহন পারাপারে চলবে রো রো ফেরি। ধীরগতির কারণে এক বছর পেছানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঘাট দুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। হিসাবে কাজ শেষ করতে আড়াই মাসের মতো সময় বাকি আছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রকল্পের সিংহভাগ কাজই অবাস্তবায়িত।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বালাসী-বাহাদুরাবাদ ঘাটের প্রধান কাজ নদীর চ্যানেল তৈরি। এজন্য ৩০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংকাজ চলমান। এখনো চ্যানেলটি নৌ-চলাচলের উপযোগী হয়নি। চলতি বছরের জুনের শুরুতে বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে একটি রো রো ফেরি বালাসী ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে। তবে কিছুদূর গিয়ে সেটি চরে আটকে যায়।

প্রকল্পের অন্য কাজের মধ্যে রয়েছে জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো নির্মাণ, ফেরিঘাট নির্মাণ, পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ সড়ক ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, ফেরিঘাট এলাকা প্রটেকশন, স্টিল জেটি স্পাড নির্মাণ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি বিদ্যুৎ সংযোগসহ আনুষঙ্গিক কাজ। ড্রেজিংসহ বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়ন করছে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (ডব্লিউইএল) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদের সঙ্গে যৌথভাবে এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনাল (এসএসআরআই) নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে প্রকল্পে।

সরেজমিন বাহাদুরাবাদ ঘাট ঘুরে দেখা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন