দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। বল মাঠে গড়ানোর পর থেকেই লড়াই হয়ে গেছে অসম। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ শুরু করল ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী।
চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই লিড পেতে পারত স্বাগতিকরা। আরিফুল ইসলামের জোরালো শট ক্রসবারঘেঁষে বাইরে যাওয়ায় সে সম্ভাবনা নষ্ট হয়। গোলের জন্য অবশ্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। অষ্টম মিনিটে চিনেদু ম্যাথিউর গোলে এগিয়ে যায় বন্দরনগরীর ক্লাবটি। বামপ্রান্ত থেকে আরিফুল ইসলামের কাটব্যাক ধরে বক্সের মধ্যে থেকে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান নাইজেরিয়ান এ ফরোয়ার্ড (১-০)।
গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের রেশ কাটার আগেই আরেক গোল। এবার বামপ্রান্ত থেকে টিসি স্পোর্টসের গোলরক্ষক আদম ইব্রাহিমের মাথার ওপর দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান লেফটব্যাক ইয়াসিন আরাফাত (২-০)। দুর্দান্ত এ গোলের পরও প্রতিপক্ষ রক্ষণে চাপ অব্যাহত রাখে মারুফুল হকের দল। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান বড় হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। সোহেল রানার হেড টিসি গোলরক্ষক ইব্রাহিম ফিরিয়ে দেয়ার পর লুকা রোতকোভিচের শট পোস্টে প্রতিহত হয়। ৪০ মিনিটে সোহেল রানার কাটব্যাক ধরে চিনেদু ম্যাথিউর প্লেসিংয়ে স্কোরলাইন ৩-০ হয়। তিন গোলের আয়েশি লিড ধরে রেখেই মাঝবিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর মালদ্বীপের ক্লাবটির গোলরক্ষক ইব্রাহিমের হাস্যকর ভুলে চতুর্থ গোল পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডানদিক থেকে আসা ক্রস গ্রিপ করতে পারেননি তিনি। সামনে থাকা লুকা রোতকোভিচ ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলতে ভুল করেননি (৪-০)। ৮৭ মিনিটে শর্ট কর্নারের পর মোহাম্মদ সামিরের ক্রস বক্সের মধ্যে থেকে হেডে জালে পাঠিয়ে টিসি স্পোর্টসের হয়ে সান্ত্বনার গোল করেন ইসমাইল ঈসা (৪-১)।
২০১৫ সালে ক্লাব কাপের প্রথম আসরে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলের দুরন্ত নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ফাইনালে কলকাতার জায়ান্ট ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারায় বন্দরনগরীর কাবটি। পরের আসরে দক্ষিণ কোরিয়ান ক্লাব পোচেন এফসির কাছে হেরে সেমিফাইনালে দৌড় থামে ক্লাবটির। ফাইনালে পোচেন এফসিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে টিসি স্পোর্টস।
প্রথম আসরে এলিটা কিংসলের দেখানো পথেই যেন হাঁটছেন তার স্বদেশী চিনেদু ম্যাথিউ! আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ