ফুটবল কখনো কখনো সাধারণ একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু হয়ে ওঠে। কখনো কখনো সেটি ছাপিয়ে যায় উত্তেজনার সব পারদ। যেমনটা বলেছিলেন লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শাঙ্কলি, ‘কিছু মানুষ মনে করে ফুটবল হলো জীবন-মরণ সমস্যা। তাদের এ আচরণ আমার পছন্দ নয়। তাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি, এটা তার চেয়ে বেশি কিছু।’ আপাতদৃষ্টিতে এ উক্তি বাড়াবাড়ি মনে হলেও ফুটবল ম্যাচ কেন্দ্র করে জীবন-মরণ দৃশ্যের অবতারণার ঘটনা তো অসংখ্যবার ঘটেছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দলের লড়াই তখন বিবেচিত হয় সবকিছুর ঊর্ধ্বে। তেমন এক লড়াইয়ের নাম ‘নর্থ ওয়েস্ট ডার্বি’। আরেকটু সহজভাবে বললে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম লিভারপুলের লড়াই। পরিস্থিতি যেমনই হোক, এ দুই দলের লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। সেই লড়াই মাঠে তো বটেই, ছড়িয়ে যায় মাঠের বাইরেও। দুই দলের সমর্থকদের কাছে শেষ কথা হচ্ছে, এই একটি ম্যাচ জিতে আসা। প্রিমিয়ার লিগে তেমন এক ম্যাচে আজ মাঠে নামছে এ দুই দল। যেখানে লিভারপুল আতিথ্য নেবে ম্যানইউর মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
বর্তমান পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে। যেখানে লিভারপুলের চেয়ে অনেক দূরে অবস্থান ম্যানইউর। এ ম্যাচে তাই ম্যানইউর মাঠে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে লিভারপুল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ‘অল রেড’দের থামাতে দারুণ কিছুই করে দেখাতে হবে ‘রেড ডেভিল’দের। এখন পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে সবগুলোয় জিতেছে লিভারপুল। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে তারা। অন্যদিকে ১২ নম্বরে থাকা ম্যানইউর পয়েন্ট মাত্র ৯। এ পরিসংখ্যান বলছে, দুই দলের শক্তি-সামর্থ্যের কোনো তুলনাই হয় না। কিন্তু ম্যাচটা লিভারপুলের বিপক্ষে বলেই আবার আশাবাদী হয়ে উঠছে ম্যানইউ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে সবকিছু ছাপিয়ে মর্যাদার লড়াইটাই যে বড় হয়ে ওঠে। এ ম্যাচটিকেই তাই নিজেদের ফিরে আসার উপলক্ষ হিসেবে দেখছেন ম্যানইউ বস ওলে গুনার সোলশার, ‘তারা (লিভারপুল) নিশ্চিতভাবেই লিগে ভালো করছে। কিন্তু আমরাও এ ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছি। এটা খেলোয়াড় ও সমর্থকদের জন্য উপযুক্ত একটি ম্যাচ। আমরা কঠিন সময় পার করেছি। কিন্তু আমি নিশ্চিত, আমরা তাদের ভালো একটি ম্যাচ উপহার দেব।’
অবশ্য ম্যানইউর জন্য কাজটা একেবারেই সহজ হবে না। এমনিতেই ধুঁকতে থাকা দলটি চোটের কারণে এ ম্যাচে পাচ্ছে না
