যশোরে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শহরের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে বৈদেশিক অনুদানে পরিচালিত খুলনা বিভাগের ৬৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) নির্বাহী প্রধান ও হেড অব ফিন্যান্স অংশ নেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ডেপুটি হেড ইস্কান্দার মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব কেএম আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পর্যায়ে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশে যে ইতিবাচক অবস্থান রয়েছে, সেই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে প্রচলিত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নবিরোধী আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এনজিওসহ মোট ১৬ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে রিপোর্টিং এজেন্সির আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব এনজিওকে সর্বদা সতর্ক ও সচেতন থেকে সরকারের ভিশন ২০৪০ সফল করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান ও এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের কো-চেয়ার আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ। অনুষ্ঠানে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
