পরিচালক, অভিনেতা ও কমেডিয়ান তাইকা ওয়াইতিতি পরিচালিত স্যাটায়ারিক্যাল ডার্ক কমেডি জোজো র্যাবিট মুক্তি পেয়েছে ১৮ অক্টোবর। ছবিটি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মাধ্যমে ঘৃণার বিরুদ্ধে বার্তা দেয়া হয়েছে। ছবিতে হিটলারকে উপস্থাপন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় চরিত্র কিশোর জোজোর এক কাল্পনিক, ভাঁড়সদৃশ বন্ধু হিসেবে। অবশ্য হিটলারকে নিয়ে কৌতুক তাইকা ওয়াইতিতিই প্রথম তৈরি করেননি, বরং হিটলারকে ব্যঙ্গ করে তৈরি ছবির রয়েছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য।
‘যুদ্ধের সময় শত্রুকে দানব হিসেবে উপস্থাপন করা স্বাভাবিক, এমনকি মাঝে মধ্যে এতে উপকারও পাওয়া যায়...উন্নত মানের না হলেও ব্যঙ্গচিত্র, কৌতুক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় হয়, কারণ এর মাধ্যমে যুদ্ধপীড়িত মানুষ মানসিকভাবে কিছুটা হালকা বোধ করেন।’ এমনটা মনে করেন চলচ্চিত্র ঐতিহাসিক লিওনার্ড ম্যাল্টিন। তিনি তার এ বক্তব্যের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিতও কিছুটা তুলে ধরেছেন। ১৯৪৩ সালে ডিজনি ডোনাল্ড ডাকের একটি পর্ব তৈরি করেছিলেন ডার ফুয়েরার’স ফেস নামে। ৯ মিনিটের এ কার্টুনে দেখা যায় ডোনাল্ড ডাক ঘুম থেকে জেগে ওঠে জার্মানিতে। সে রীতিমতো থার্ড রাইখের এক সদস্য। এখানে হিটলারের জয়গান করা, শুকনা রুটি খাওয়া, সামরিক কারখানায় বাধ্যতামূলক কাজ ডোনাল্ড ডাকের জীবনকে নাজেহাল করে তোলে। তারপর একদিন দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে জেগে উঠছে। মনে হয় এতক্ষণ সে দুঃস্বপ্ন দেখছিল। সে আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানায় তার নাগরিকদের স্বাধীন জীবন উপহার দেয়ার জন্য।