সংসদীয় কমিটিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

রোহিঙ্গাদের কারণে বন ক্ষতিগ্রস্ত ৮ হাজার একর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বনাঞ্চল উজাড় করে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনের কারণে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে হাজার একর জমির বন ধ্বংস হয়ে গেছে। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় পরিবেশ, বনভূমি জীববৈচিত্র্য। রোহিঙ্গা বসতি স্থাপনের কারণে ধ্বংস হওয়া বনাঞ্চলের ক্ষতির মোট আর্থিক মূল্য নিরূপণ করা হয়েছে হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার কারণেই ক্ষতি হয়েছে হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গতকাল বন বিভাগ উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে আসে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

সংসদীয় কমিটি উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে। রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, সে সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে পরিবেশ জীববৈচিত্র্যের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, কতটুকু ক্ষতি পুনরুদ্ধার করা যায় এবং ক্ষতি প্রতিরোধের সম্ভাব্য উপায় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা নির্ণয়ের সুপারিশ করা হয়। কমিটিকে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পানি সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিটি সুপারিশ করে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে পরিবেশ জীববৈচিত্র্যের, যা পূরণ করা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের জন্য আর এক ইঞ্চিও বনভূমি দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বন গেছে, গাছ নেই, পশুপাখিসহ ধ্বংস হয়েছে জীববৈচিত্র্য, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বন্যহাতি। এখন নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে পানি সংকট। প্রায় ১০ হাজার গভীর নলকূপ থেকে প্রতিদিন পানি তোলা হচ্ছে। ফলে পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নামছে আর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে পানি সংকট। পানি সংকটের কারণে আগামীতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে উখিয়ার টেকনাফ এখন মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, যারা পাহাড় কাটবে, তাদের রেহাই নেই। এনজিওগুলো পাহাড় কাটায় জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নির্দিষ্ট স্থানে ৬৩টি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন