স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ রবির

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ মেয়াদি ঋণ পরিশোধে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সেলফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমতি চেয়ে এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আবেদন করেছে অপারেটরটি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির শর্ত পূরণ না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে বন্ড ইস্যু করতে আগ্রহী রবি।

জানা গেছে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ডিমিনিশিং মুশারাকা পদ্ধতিতে ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের সর্বোচ্চ ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে রবি জিরো কুপন ইসলামিক সার্টিফিকেট নামে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক এই বন্ড বিক্রি করা হবে। এই বন্ডের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর, মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে শতাংশ। এটির ট্রাস্টি হিসেবে থাকবে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

রবির আবেদন প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের পর বিষয়ে মতামত দিতে গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে চিঠি দেয় বিটিআরসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ধরনের বন্ড ইস্যুর সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বন্ড বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় হবে, তা বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়।

এরপর বন্ড বিক্রির অর্থ ব্যয়ের খাত সম্পর্কে জানতে চেয়ে গত ১৪ আগস্ট রবি আজিয়াটা লিমিটেডকে একটি চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ আগস্ট রবি আজিয়াটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, রবি এই বন্ডের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ থেকে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় (ভ্যাটসহ) বাবদ ২৩০ কোটি ২২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয় করবে। এছাড়া মেয়াদি ঋণ পরিশোধে ৯৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, একটি দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রবি তার বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে চাচ্ছে। সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগের উৎস তৈরিতে কাজ করছে রবি। তবে পুরো প্রক্রিয়া নির্ভর করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতির ওপর। অনুমোদন পেলেই রবি তার কার্যক্রম শুরু করবে।

এদিকে, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডও বন্ড ছাড়ার জন্য বিটিআরসির কাছে অনুমতি চেয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সংগ্রহে বন্ড ছাড়তে চায় প্রতিষ্ঠানটি। বন্ড বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ ব্যবসা সম্প্রসারণ উচ্চসুদের বর্তমান ঋণ পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে তারা। গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন