ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে সামরিক বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র নিতে চায় বাংলাদেশ। তবে সমরাস্ত্র বিক্রির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তাদের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে সামরিক চুক্তির অংশ হিসেবে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএম আইএ) ও অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং এগ্রিমেন্টের (এসিএসএ) প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ দুটি চুক্তি নিয়ে বর্তমানে দুই দেশ কাজ করছে। চুক্তি দুটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সামরিক সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কূটনীতিকরা।
এ বিষয়ে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ তার ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে এগিয়ে চলছে। এতে আমরাও সহযোগী হিসেবে রয়েছি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন যৌথ প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া, বাংলাদেশের কাছে অস্ত্র বিক্রিসহ দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক বেশ এগিয়েছে। এখন বাংলাদেশ তার সামরিক বাহিনীর জন্য অ্যাডভান্সড মিলিটারি হার্ডওয়্যার ক্রয় করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তাই বাংলাদেশকে এ দুটি চুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এতদিন কেবল অস্ত্র বিক্রি করলেও এখন কেন দুই দেশের সামরিক চুক্তি লাগবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালে সমরাস্ত্র ক্রয়ের প্রস্তাবটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসেছে। সামরিক চুক্তি ছাড়া অ্যাডভান্সড মিলিটারি হার্ডওয়্যার বিক্রি করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বর্তমানে দুই দেশ দুটি চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। অ্যাডভান্সড মিলিটারি হার্ডওয়্যার নিতে চাইলে জিএসওএমআইএ চুক্তি লাগবে।
জানা গেছে, ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। আগ্রহের কথা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে চিঠিও লিখেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। চিঠিতে তিনি জানান, বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দুই বড় প্রতিবেশী চীন ও ভারতের মাঝে অবস্থিত। এর সঙ্গে সামনে রয়েছে বিশাল মহাসাগর। আর বাংলাদেশ অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাস করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত একটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চাই আমরা, যেটি সবার জন্য উন্নতি ও সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বেশ আগে থেকেই বাংলাদেশ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সম্পর্ক রয়েছে। সেই আলোকে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত প্রতিরক্ষা