পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আমাদের যদি মানবজাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হয়, সমানতালে চলতে হয়, তাহলে স্বাভাবিকতা অর্জন করতে হবে। সেই স্বাভাবিক বা ন্যাচারাল হওয়ার একমাত্র পথ হলো নিজের ভাষা, সংস্কৃতি, আত্মপরিচয় নিজের মধ্যে গ্রহণ ও লালন করা। কোনো মেকি বা নকল মানুষ কখনো তার নিজের ভেতরের শক্তি বিকাশ করতে পারে না।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় ভাষা প্রতিযোগিতা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ আয়োজনে বাংলা, ইংরেজি ও চীনা ভাষার প্রতিযোগিতা হবে।
এমএ মান্নান বলেন, চীনারা বোধ হয় পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদের মালিক। তাছাড়া ইংরেজি ভাষা অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ও পরাক্রমশালী। আমাদের মাতৃভাষা বাংলাও একটি বিশাল ভাষা। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি মানুষ সারা বিশ্বে এ ভাষা ব্যবহার করে। ভাষা ব্যবহারে আমাদের একটা আবেগ আছে। এটা গর্বের বিষয়।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রসঙ্গ টেনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি নিজেকে সাহেব মনে করতেন, নিজের ধর্ম ত্যাগ করেছিলেন। ইংরেজি লিখতেন পাগল হয়ে দিনরাত। চর্চা করতেন, পড়তেন। অত্যন্ত উন্নত মানের ইংরেজি জানতেন তিনি। কিন্তু মাঝনদীতে গিয়ে তিনি হাবুডবু খেলেন। সেই মাইকেল কান্নাকাটি করে, ইউরোপ-টিউরোপ ঘুরে আবার সাগরদাঁড়িতে, বাংলাদেশের যশোরে এসে শান্তি পেয়েছিলেন। তার মানে কী? মায়ের কোলেই আশ্রয়।
নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা তুলে ধরে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান লায়ন বেনজীর আহমেদ বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমি তুলনা করার জন্য বলছি না, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা শিক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের সুযোগ দেয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রেখেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর ইয়ান হুয়া লং, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।