জনস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য হুমকি হওয়া ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গতকাল তামাকজাত নব্যপণ্য ব্যবহার রোধে আয়োজিত ‘ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্ট ও বাংলাদেশ: বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত জাতি গঠনে জাতির স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর স্বাস্থ্যরক্ষায় তামাক ও তামাকজাত পণ্য বর্জনের বিকল্প নেই। ই-সিগারেট চাতুর্যের সঙ্গে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের কারণে তরুণ প্রজন্মের এর শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি, যা জাতির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এটি নিষিদ্ধ করেছে। এ দেশে এটি বন্ধের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। কবিতায় কুঁড়েঘর আছে, বাস্তবে নেই। খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। সন্ধ্যায় একমুঠো বাসি ভাত আর কেউ চায় না। আকাশ থেকে হাতিরঝিল দেখলে মনে হয় ইউরোপের কোনো শহরে এসেছি। তবে ভৌত এ উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের মানবিকভাবে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলেই সঠিক পথে এগোনো সম্ভব।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারি। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংস্থা ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকোর মহাসচিব ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল
রেজা চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হার্ট ফাউন্ডেশনের অ্যান্টি-টোব্যাকো প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার।