দ্বিতীয় দিনও রাজত্ব করলেন সাইফ হাসান। আগের দিন ১২০ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন সম্প্রতি শ্রীলংকা সফরে ‘এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি করা সাইফ। আগের দিনের মতো গতকালও তাকে আউট করতে পারেননি রংপুরের কোনো বোলার। তার হার না মানা ২২০ রানে ভর দিয়ে রানের চূড়ায় উঠেছে ঢাকা বিভাগ। ৫৫৬/৮ স্কোর নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। জবাবে রংপুরের সংগ্রহ ৭১/২। বাকি তিন ম্যাচে আর কোনো সেঞ্চুরি আসেনি। তবে সুবিধাজনক জায়গায় ঢাকা মেট্রো, সিলেট ও খুলনা।
চলতি জাতীয় লিগে প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচে একমাত্র ইমরুল কায়েসের ডাবল সেঞ্চুরি বাদ দিলে আর কোনো সেঞ্চুরি আসেনি। দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন শেষেও সেই ব্যাপার। সাইফ ডাবল পেলেও আর কেউ নাগাল পাননি তিন অংকের ঘরের। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছ থেকে ফিরেছেন ইমরুল। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরুল। দলের আর কেউই পাননি হাফ সেঞ্চুরির নাগাল। প্রথম স্তরের এ ম্যাচে দ্বিতীয় দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ২২৭/৬। প্রথম ইনিংসে তারা এখনো ৩৪ রান পিছিয়ে। রাজশাহীর প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ২৬১ রানে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে লিডের পথে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ। দ্বিতীয় স্তরের এ ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৩৫৬ রান। দলটির হয়ে ফিফটি পান ইরফান শুক্কুর (৫৭), মাহিদুল ইসলাম (৯১), ইয়াসির আলী (৭০) ও মাসুম খান (৫০*)। জবাবে দিনের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তুলেছে বরিশাল। প্রথম ইনিংসে তারা এখনো ২৫২ রানে পিছিয়ে। হাতে ৬ উইকেট।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানের লিড পেয়েছে সিলেট বিভাগ। গতকাল দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৯ রান সংগ্রহ করেছে মেট্রো। সব মিলিয়ে এখনো তারা ৬৪ রানে পিছিয়ে। হাতে পুরো ১০ উইকেট। সিলেটের হয়ে ফিফটি পেয়েছেন তৌফিক খান (৬১), জাকির হাসান (৭১), অলক কাপালি (৫৪) ও জাকের আলী (৭১)।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের সাড়ে পাঁচশোর্ধ্ব রানের ভার নিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে রংপুর। মাত্র ৪৪ রানেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। তবে দিনের শেষ পর্যন্ত লড়াই জিইয়ে