সুন্দরবনে ফের দস্যুর উৎপাত ৮ মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১৯

বণিক বার্তা প্রতিনিধি খুলনা

 ২০১৮ সালের নভেম্বর সুন্দরবনকে সরকার দস্যুমুক্ত ঘোষণা করে তবে এর এক বছর না যেতেই বনটিতে আবার দস্যুদের উৎপাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জেলে মৌয়ালসহ বনজীবীরা দস্যুতা ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাও ঘটছে গত আট মাসে ধরনের ঘটনায় নিহত হয়েছে অন্তত ১৯ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি ঘোষণার পরও সুন্দরবনে যারা দস্যুতায় যুক্ত আছে তাদের শক্তভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে দস্যুদের পাশাপাশি তাদের সহায়তাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে সরকার সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার উদ্যোগ নেয় এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন দস্যু আত্মসমর্পণ করে তাদের কাছ থেকে ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা নেয়া হয় ২০১৮ সালের নভেম্বর বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দস্যুমুক্ত ঘোষণা দেন ঘোষণার পর সুন্দরবনে দস্যুদের তত্পরতা বন্ধ হওয়ায় নির্ভার ছিল জেলে মৌয়ালসহ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষেরা তবে এর কিছুদিন পরেই বনে আবার জলদস্যুরা সক্রিয় হয়ে ওঠে সরকারি ঘোষণার চার মাস না যেতেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া এলাকায় চারজন নিহত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে ওই সময়ে র্যাব জানায়, নিহতরা বনদস্যু আরিফ বাহিনীর সদস্য

এর তিনদিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা রেঞ্জে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু সাহেব আলী বাহিনী প্রধান সেকেন্ড ইন কমান্ড নিহত হয় মে চাঁদপাই রেঞ্জের চরপুটিয়া এলাকার খোন্তা কোদালিয়া খালে র্যাব--এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু রানা বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয় ৩০ মে রাতে জোংড়ার খাল এলাকায় র্যাব--এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হাসান বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয় ২৩ জুলাই পূর্ব ওই খালে র্যাব--এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে খালেক বাহিনীর প্রধানসহ দুজন নিহত হয় সর্বশেষ ১৫ অক্টোবর সুন্দরবনের কয়রা খালে র্যাব--এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আমিনুর বাহিনীর প্রধানসহ চার সদস্য নিহত হয়

সূত্র জানায়, আত্মসমর্পণের পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া দস্যুরা ছোট ছোট গ্রুপ তৈরি করে নতুন দল গড়ে তুলেছে সাতক্ষীরা, খুলনা চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকায় তারা বনজীবীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে বনদস্যুদের প্রত্যাবর্তনে উপকূলীয় এলাকায় মত্স্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ আছে এসব মত্স্য ব্যবসায়ীর দস্যুদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন