চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬২ কোটি টাকা কম হয়েছে। তবে বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে পণ্য আমদানি-রফতানি সাধারণত কমে যায়। আর এ কারণেই রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি পড়েছে। তবে এ ঘাটতি শিগগিরই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
ভোমরা স্থলবন্দরে কাস্টমস রাজস্ব শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আদায় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৩২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৭২ কোটি ৪ লাখ, আগস্টে ৯২ কোটি ৮৮ লাখ ও সেপ্টেম্বরে ৬৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে গত তিন মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৬৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪৮ কোটি ৯ লাখ, আগস্টে ৫৪ কোটি ৫৮ লাখ ও সেপ্টেম্বরে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকা। ফলে প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব ঘাটতি থেকে গেছে ৬২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, আমাদের দেশের অর্থবছর শুরু হয় মূলত বর্ষা মৌসুমে। আর এ সময় ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা ভাব বিরাজ করে। সে কারণে গত তিন মাসে ভোমরা বন্দরে রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে। তবে সামনে আমদানি-রফতানি ভালো হবে বলে আশা করা যায়। তখন ওই ঘাটতি পূরণ হবে।
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি পড়ার কথা স্বীকার করে ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, তারা আশা করছেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে এমনিতেই আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ভাটা পড়ে। এর মধ্যে ঈদ ও পূজার দীর্ঘ ছুটি ছিল। ফলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়াটা স্বাভাবিক। এ কর্মকর্তা আশা করছেন, কেবল অর্থবছরের মাত্র তিন মাস পার হয়েছে। আশা করা যায়, সামনের দিনগুলোয় ঘাটতি পূরণ হয়ে ১২ মাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) ভোমরা স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি।
তবে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হওয়া সত্ত্বেও সব ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ না থাকায় ভোমরা বন্দর ব্যবহারে
