টেলিকম ও প্রযুক্তি

 টেলিযোগাযোগ খাতে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী টি-মোবাইল ইউএস ইনকরপোরেশন ও স্প্রিন্ট করপোরেশন। তবে দীর্ঘদিন থেকেই প্রতিষ্ঠান দুটির একীভূত হয়ে যাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল। এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী স্প্রিন্ট করপোরেশনকে অধিগ্রহণে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের চুক্তিও করেছে টি-মোবাইল। মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকেও এ চুক্তিতে সায় মিলেছে। বাকি ছিল মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের (এফসিসি) অনুমোদন। এবার এটাও মিলেছে। এফসিসির ভোটাভুটিতে অধিগ্রহণ চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে রায় এসেছে। ফলে দুই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম একীভূতকরণে আর কোনো বড় বাধা রইল না। খবর টেলিকমলিড ও রয়টার্স।

২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের চুক্তি অনুমোদনের জন্য এফসিসিতে উত্থাপিত প্রস্তাবটি ৩-২ ভোটে পাস হয়েছে। এফসিসির চেয়ারম্যান অজিত পাই এবং রিপাবলিকান দলীয় দুজন কমিশনার অধিগ্রহণ চুক্তিটি বাস্তবায়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে এফসিসির ডেমোক্র্যাটদলীয় দুই কমিশনার চুক্তির বিপক্ষে নিজেদের মত দিয়েছেন। ভোটাভুটির পর এক বিবৃতিতে এফসিসিতে নিযুক্ত ডেমোক্র্যাটদলীয় কমিশনার জেসিকা রোজেনওরসেল বলেন, টি-মোবাইল ও স্প্রিন্টের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে আদতে কোনো লাভ হবে না। এ প্রক্রিয়া বরং বাজারে প্রতিযোগিতা কমিয়ে দিতে পারে। পণ্যের দাম বাড়তে পারে। কমে যেতে পারে মান। সর্বোপরি টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবনী সক্ষমতা ও সৃজনশীলতা কমে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রক্রিয়া থেকে গ্রাহকরা কোনো সুবিধা পাবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ খাতের তৃতীয় ও চতুর্থ বৃহৎ সেলফোন অপারেটর টি-মোবাইল ইউএস ইনকরপোরেশন ও স্প্রিন্ট করপোরেশন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠান দুটি একীভূত হওয়ার আলোচনা শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে মার্কিন টেলিযোগাযোগ খাতে তৃতীয় বৃহৎ সেলফোন অপারেটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। স্প্রিন্টের প্যারেন্ট কোম্পানি জাপানভিত্তিক সফটব্যাংক গ্রুপ করপোরেশন এবং টি-মোবাইলের প্যারেন্ট কোম্পানি জার্মানভিত্তিক ডয়েচে টেলিকম এজি। টি-মোবাইলের ৬৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক ডয়েচে টেলিকম এজি। আর স্প্রিন্ট করপোরেশনের ৮৪ শতাংশের মালিকানায় রয়েছে সফটব্যাংক গ্রুপ করপোরেশন। টানা আলোচনা শেষে গত বছরের এপ্রিলে উভয় প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম একীভূতকরণ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হয়। চুক্তির মূল্যমান ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

চুক্তি সইয়ের পর একীভূতকরণের পরবর্তী ধাপের কার্যক্রম শুরুর জন্য তখন থেকে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল উভয় প্রতিষ্ঠান। গত জুলাইয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে সবুজসংকেত পায় এ চুক্তি। ওই সময়