মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচার সার্ভিস (এফএএস) সম্প্রতি ভারতের তুলা উৎপাদনের পূর্বাভাস করেছে। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ বিপণন বর্ষে (এপ্রিল-মার্চ) দেশটিতে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৯৩ লাখ বেল (এক বেলে ৪৮০ পাউন্ড) তুলা উৎপাদন হতে পারে। খবর কমোডিটি অনলাইন।
এফএএসের তথ্য অনুযায়ী, এবার বিপণন বর্ষে ভারতে তুলার আবাদ বেড়েছে। এরই মধ্যে পণ্যটির আবাদি জমির পরিমাণ ১ কোটি ৩০ লাখ হেক্টরে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি এবং পাঁচ বছরের বার্ষিক গড় আবাদের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। দেশটির প্রধান তুলা উৎপাদনকারী অঞ্চল গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও মধ্য প্রদেশে পণ্যটির আবাদ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ২ শতাংশ। দেশটিতে এবার তুলার অভ্যন্তরীণ ব্যবহার দাঁড়াতে পারে ২ কোটি ৫৬ বেলে।
উল্লেখ্য, ভারতে এবার ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। বন্যায় দেশটির পেঁয়াজসহ অধিকাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে মাটির আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় চলতি বিপণন বর্ষে দেশটিতে তুলার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তবে বাড়তি ফলনে খুশি হতে পারছে না দেশটির কৃষকরা। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তুলার বাজারে ধারাবাহিক মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। এর কারণ চাহিদা অনুপাতে পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদনে বেশি প্রবৃদ্ধি। এ পরিস্থিতিতে কৃষিপণ্যটির অন্যতম শীর্ষ উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশ ভারতে বাড়তি উৎপাদনের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাবে তুলার। এর প্রভাবে পণ্যটির দাম আরো কমে যেতে পারে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এতে আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশটি থেকে তুলার রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
