বন্ধ কারখানার দখলে বিসিকের প্লট

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্প-কারখানা বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। তবু দখল করে রেখেছে প্লট। সিলেটের গোটাটিকরের বিসিক শিল্পনগরীর রকম অন্তত ২০টি প্লট দখল করে রেখেছেন বন্ধ শিল্প-কারখানার উদ্যোক্তারা। অপরদিকে, শিল্প-কারখানা গড়তে চাইলেও বিসিকে প্লট খালি পাচ্ছেন না নতুন উদ্যোক্তারা।

ময়মনসিংহ বিসিক শিল্পনগরীর অধিকাংশ শিল্প প্লট মালিকরা কারখানা না করে ফেলে রেখেছেন। কেউ ভাড়া দিয়েছেন অন্য কাউকে। আবার পরিত্যক্ত প্লটের ভবনগুলোতে চলছে মাদকাসক্তদের আড্ডা।

দেশের বেশির ভাগ বিসিক শিল্পনগরীরই একই অবস্থা। কোথাও কারখানা বন্ধ থাকলেও প্লট ছাড়ছেন না মালিকরা। কোথাও আবার প্লট বরাদ্দ নিয়েও শিল্প করছেন না। কিছু প্লট আছে যা বরাদ্দই দেয়া হয়নি।

সিলেটের গোটাটিকরের বিসিক সূত্রে জানা যায়, নয়টি বন্ধ শিল্প-কারখানা দখল করে আছে ২০টি প্লট। প্রায় এক যুগ ধরে শিল্প-কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়লেও প্লটের দখল ছাড়ছে না তারা। ফলে প্রায় পতিত হয়ে পড়ে আছে প্লটগুলো।

১৯৬২ সালে ২৪ দশমিক ৮৯ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিসিকে মোট বরাদ্দ উপযোগী প্লট রয়েছে ১৩৪টি। মোট ৬৩টি উৎপাদনশীল শিল্প-কারখানার দখলে আছে ১১৪টি প্লট। বাকি ২০টি প্লট বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়টি শিল্প-কারখানার দখলে।

দীর্ঘদিন ধরেই সিলেট বিসিক শিল্পনগরীগুলো সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। বিসিক শিল্পনগরীতে প্লট খালি না থাকায় নতুন উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন না উল্লেখ করে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতারা বিসিকের জায়গা সম্প্রসারণের জন্য লিখিতভাবেও আবেদন করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছেও একাধিকবার বিসিক সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তবে বিসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জমি না থাকায় বিসিক সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে না।

সিলেট নগরীর গোটাটিকরের বিসিক- সূত্রে জানা যায়, বন্ধ কারখানা ইআর এন্টারপ্রাইজের দখলে চারটি প্লট, মেসার্স বেগম প্যাকেজিংয়ের দখলে রয়েছে এক, সুরমা ইন্ডাস্ট্রিজের দখলে এক, আল-ফাত্তাহ অয়েল মিলের দখলে তিন, কুশিয়ারা উইভিং ফিশনেটের দখলে এক, মনসুর নিটিং অ্যান্ড হোশিয়ারি ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের দখলে এক, এনকেএফ টেক্সটাইল মিলের দখলে এক, কুশিয়ারা টেক্সটাইল<

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন