পারিবারিক ও সামাজিক বাধা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ২০০৯ সালে ৪১ দশমিক ৩৭ শতাংশ নারীই ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ করতে গিয়ে তাদের পিতা-মাতার কাছ থেকে নিরুৎসাহিত হতেন। ২০১৭ সালে এ হার ৩ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালে এমন কোনো ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তা ছিলেন না, যিনি কোনো না কোনোভাবে পারিবারিক বাধার সম্মুখীন হননি। কিন্তু ২০১৭ সালে এসে ৭৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাই ব্যবসা করতে গিয়ে কোনো পারিবারিক বাধার সম্মুখীন হননি।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে নারী উদ্যোক্তা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত ২০১৭’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশ করে এসএমই ফাউন্ডেশন। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কেএম হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম।
গবেষণায় দেখা যায়, গত আট বছরে বাধা অতিক্রমের বেশির ভাগ সূচকেই এগিয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তারা। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৫৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশই জানিয়েছেন, ব্যবসা করতে গিয়ে তারা কোনো ধরনের সামাজিক বাধার সম্মুখীন হননি। ২০০৯ সালে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা স্বামীর কাছ থেকে নিরুৎসাহিত হতেন, ২০১৭ সালে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা সমাজ কর্তৃক নিরুৎসাহিত হন। অন্যদিকে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ নারী ব্যবসা করতে গিয়ে নানা ধরনের অহেতুক চাপ এবং ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা বিভিন্ন আঙ্গিকে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে জানান।
পারিবারিক ও সামাজিক বাধা অনেকাংশে কমে এলেও ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন 
