জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য ব্যাংক থেকে ১৪১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে মিশম্যাক গ্রুপের কর্ণধার মিজানুর রহমান শাহীনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই মামলায় পর্যাপ্ত জামানত ছাড়া বেআইনিভাবে ঋণ প্রদানে সহায়তার অভিযোগে মার্কেন্টাইল ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক নন্দ দুলাল ভট্টাচার্যকেও আসামি করা হচ্ছে। গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার বাদী ও দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, দুদকের একটি তদন্ত দল মিশম্যাক শিপ ব্রেকিংয়ের বিরুদ্ধে মার্কেন্টাইল ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ১৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ঋণের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন ও দাখিলকৃত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়েছে। ৭ অক্টোবর কমিশন মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মিজানুর রহমান শাহীন ও নন্দ দুলাল ভট্টাচার্য পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারণা, জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ঋণের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। ঋণ আত্মসাতের প্রক্রিয়ায় নন্দ দুলাল ভট্টাচার্য গ্রাহককে প্রয়োজনীয় জামানত ছাড়া অনুমোদনের আগে ঋণপত্র খুলে ও জামানতকৃত সম্পত্তির অতিরিক্ত মূল্যায়ন দেখিয়ে ঋণ প্রদান করেন। ওই ঋণ জ্ঞাতসারে অবহেলা ও পর্যবেক্ষণ এবং ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত সঠিকভাবে পরিপালন না করে ব্যাংক তথা রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করেছেন নন্দ দুলাল।
দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১৪১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনা তদন্ত করে। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব আলম।
এর আগে গত ২৪ মে অগ্রণী ব্যাংকের ১৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মিশম্যাক গ্রুপের দুই কর্ণধারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। অগ্রণী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ওই মামলায় মিশম্যাক শিপ ব্রেকিংয়ের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান শাহীন ও মুহিব স্টিল অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিংয়ের স্বত্বাধিকারী মুজিবুর রহমান মিলনকে আসামি করা হয়। ব্যাংকটির লালদীঘি করপোরেট শাখা থেকে মিশম্যাক শিপ