‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় আনা গাড়ি জালিয়াতির মাধ্যমে নিবন্ধন করে ব্যবহারের অভিযোগে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এর পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী বাদী হয়ে বৃহষ্পতিবার মামলাটি করেন। মামলাটি করা হয়েছে দুদক সজেকা বরিশাল (ভোলা) কার্যালয়ে।
মামলায় মুসা বিন শমসেরসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. আইয়ুব আনছারী (বর্তমানে ঝালকাঠিতে কর্মরত), গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অটো ডিফাইন ও ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান, মুসা বিন শমসেরের শ্যালক মো. ফারুক-উজ-জামান এবং ‘কার্নেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় গাড়ি আনা ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ফারিদ নাবির।
গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অটো ডিফাইন ও ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলা রয়েছে।
বেসিক ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বড় অংকের অর্থ ঋণ নিয়ে আত্মসাত করার অভিযোগে এ মামলা করেছে দুদক।
কারনেট ডি প্যাসেজ ব্যবস্থায় একজন পর্যটক বা ভ্রমণকারী নিজ গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন। সাময়িক আমদানি সুবিধার আওতায় গাড়িটি কোনো ধরনের শুল্ক-কর পরিশোধ ছাড়াই চলাচল করতে পারে। কিন্তু এ সুবিধায় আনা গাড়ি বিক্রি করা যায় না। এটি ব্যবহার শেষে ফেরত নিয়ে যেতে হয়।
২০১৭ সালে ‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় আনা একটি রেঞ্জ রোভার জিপ ঢাকায় মুসা বিন শমসেরের ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দারা। গাড়িটি মুসার শ্যালক ফারুক উজ-জামানের নামে ভোলায় নিবন্ধিত। উদ্ধারের পর শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে ওই গাড়ি নিবন্ধন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই বছরের ২০ জুন অভিযোগটি দুদকে পাঠানো হয়।
অনুসন্ধানে দুদকের কর্মকর্তারা জানতে পারেন, ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ফারিদ নাবিরের কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় আনা গাড়িটি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে শ্যালক ফারুক উজ জামানের নামে নিবন্ধন করেন মুসা বিন শমসের। গাড়িটি ভোলায় রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, ওই সময় ফারুক সেখানে গিয়েছিলেন। তবে মুসা বিন শমসের তার সঙ্গে ভাড়ার চুক্তিপত্র প্রদর্শন করলেও ফারুক এ