একদিনের ঝটিকা সফরে এসে বাংলাদেশ মাতিয়ে গেলেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক এবং সব শেষে সংবাদ সম্মেলন। গতকাল ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলে বিকালের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দেশের ফুটবল, বিশেষ করে নারী ফুটবল উন্নয়নে নানা পরামর্শ ও বিনিয়োগের তাগিদ দিলেন।
৪৯ বছর বয়সী ইনফ্যান্তিনো নারী ফুটবল নিয়ে বলেন, ‘ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত এবারের নারী বিশ্বকাপে আমরা বিস্ময়কর সাড়া পেয়েছি। ১০০ কোটি মানুষ কেবল টিভিতেই দেখেছে। নারীরা বিশ্বজুড়েই ভালো করছে। বাংলাদেশেও। আমি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বলেছি, যেন নারী ফুটবলে মনোযোগ দেয় এবং বিনিয়োগ বেশি বেশি করা হয়। এখনো বিশ্বের কিছু দেশে নারী ফুটবলে খুব একটা মনোযোগ দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ এ দিকটায় এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’
বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এ ব্যক্তি বলেন, ‘এ অঞ্চলে ২০০ কোটি মানুষের বাস। বাংলাদেশ ও এ অঞ্চল নিয়ে আমাদের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা আছে। বাফুফেতে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে। আমাদের সবার দর্শন হচ্ছে, বেশি বেশি খেলতে হবে। বেশি বেশি প্রতিযোগিতার আয়োজন, বেশি বেশি বিনিয়োগ করা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও এ নিয়ে আশ্বাস পেয়েছি। তিনি বিনিয়োগের কথা বলেছেন, মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কথা জানিয়েছেন। এশিয়ায় ফুটবল নিয়ে মাতামাতি আছে। এটা ভেবেই কিন্তু বিশ্বকাপে দল বাড়ানো হয়েছে। এখন এশিয়ার চারটা দল বিশ্বকাপ খেলতে পারে। সামনে ৪৮ দলের বিশ্বকাপে আরো চারটি দল সুযোগ পাবে।’
বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মজার ছলে ইনফ্যান্তিনো বলেন, ‘আমার পাশে কিন্তু আপনাদের দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের প্রেসিডেন্ট (কাজী সালাউদ্দিন) বসে আছেন। ফিফায় একমাত্র এশিয়ান কাউন্সিল মেম্বারও বাংলাদেশের (মাহফুজা আক্তার কিরণ)। এর মাধ্যমে এরই মধ্যে আপনারা বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চলে গেছেন। ফিফার প্রতি অভিযোগ, কিছু অঞ্চল অবহেলার শিকার হয়, ফুটবল শুধু ইউরোপকেন্দ্রিক। তবে এমন হওয়ার কারণ নেই। বিশ্বকাপের দল ৩২ থেকে ৪৮-এ উন্নীত করা হয়েছে। এশিয়ার জন্য বরাদ্দ দ্বিগুণ হয়েছে। নারী বিশ্বকাপেও ২৪ থেকে ৩২ দল করা হয়েছে। যুব এবং কিশোরী ফুটবলে দল বাড়ানোর প্রস্তাব করতে যাচ্ছি।