মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে দুঃসময় পার করা এসি মিলান এবার আর্থিক খাতেও পেল বড় দুঃসংবাদ। ইতালির ঐতিহ্যবহুল ক্লাবটি রেকর্ড লোকসানের মুখে পড়েছে। এতে সাতবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনও পড়ল কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।
ইতালির সংবাদমাধ্যম গাজেত্তা দেলো স্পোর্ত দাবি করছে, ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১২ মাসে এসি মিলান ১৪ কোটি ৬০ লাখ ইউরো (প্রায় ১ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা) লোকসান করেছে, যা আগের মৌসুমের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি। আগের মৌসুমে তাদের লোকসান ছিল ১২ কোটি ৬০ লাখ ইউরো।
গাজেত্তা জানায়, এসি মিলান ৯ কোটি ইউরো লোকসানের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, তবে তাদের অনুমানের চেয়েও এটি অনেক বেশি হয়েছে।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে চীনা ব্যবসায়ী লি ইংহংয়ের কাছ থেকে এসি মিলানের মালিকানা বুঝে নেয় আমেরিকান বিনিয়োগ ফান্ড ইলিয়ট। তবে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে চলা ক্লাবটিকে টেনে তুলতে তারাও হিমশিম খাচ্ছে।
রাজস্বও ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে এসি মিলানের। গত মৌসুমে তারা ২৪ কোটি ১০ লাখ ইউরো (প্রায় ২ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা) রাজস্ব আহরণ করেছে, যা ইউরোপিয়ান জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, প্যারিস সেন্ট জার্মেই কিংবা বায়ার্ন মিউনিখের তুলনায় অনেক অনেক কম। আবার সামগ্রিকভাবে খরচ ১৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ৩ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা)।
মূলত ইউরোপিয়ান ফুটবলে অনুপস্থিতির কারণে আয় কমেছে এসি মিলানের। আগের মৌসুমে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কিংবা ইউরোপা লিগে অংশ নিতে পারেনি। ফলে মার্চেন্ডাইজিং ও স্পন্সর খাত থেকে তাদের আয় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কমে গেছে। সেই সঙ্গে টিকিট খাত থেকেও আয় কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও টিভিস্বত্ব থেকে তাদের রাজস্ব বেড়েছে। এ খাতের আয় ১০ কোটি ৯ লাখ ইউরো থেকে বেড়ে ১১ কোটি ৩৮ লাখ ইউরো হয়েছে।
গত মৌসুমে ইতালিয়ান সিরি-এ লিগে পঞ্চম হওয়ার পরও ইউরোপা লিগে খেলা হয়নি এসি মিলানের, কারণ উয়েফার ‘ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’ নিয়ম ভাঙার কারণে তারা এ প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ হয়। খেলোয়াড় বিক্রির খাতেও আয় করেছে মিলান। আগের মৌসুমে এ খাতে ৪ কোটি ২০ লাখ ইউরো এলে সর্বশেষ ১২ মাসে এসেছে ২ কোটি ৫৫ লাখ ইউরো।
স্কাই ইতালিয়ার ভাষ্যমতে, এসি মিলানকে বাঁচিয়ে রাখতে ও লড়াই করার মতো দল গড়তে গত