নোবেলকাণ্ড!

এসএম রশিদ

ক্ষমতায় এসে ওবামার নোবেল জয় নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘কেন তাকে পুরস্কার দেয়া হলো, সে বিষয়ে নিজেও জানতেন না ওবামা।আর ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নোবেল কর্তৃপক্ষ সৎ হলে তিনি অবশ্যই নোবেল পেতেন। তার মতে, অনেকগুলো অবদানের কারণেই তিনি নোবেল পেতে পারেন। ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আর ওবামার শান্তিতে নোবেল পাওয়া কোনোটাই দুনিয়ার মানুষের কাছে ঠিক বোধগম্য হয়ে ওঠেনি। বছর সাহিত্যে নোবেলজয়ী পিটার হান্ডকে বসনিয়ায় মুসলিমদের ওপর চালানো গণহত্যার কসাই বলে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী স্লোবোদান মিলোসেভিচের গুণমুদ্ধ। নোবেল পুরস্কারের প্রায় ১২০ বছরের ইতিহাসে রকম বহু ঘটনা আছে, যা কখনো ভুল কিংবা প্রবল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কাউকে যে আবিষ্কারের জন্য নোবেল দেয়া হয়েছিল, পরে দেখা গেল যে সে আবিষ্কারই ভুল! গত কয়েক বছরে শান্তিতে নোবেলজয়ীদের ভূমিকা নিয়ে, ন্যায্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে। তাই নোবেল নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমছে, উল্টো বাড়ছে বিতর্ক।

নোবেল পুরস্কার দুনিয়াকে কী দিয়েছে বা নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তনে দুনিয়া কতটা বদলেছে, এমন প্রশ্নের জবাব দেয়াটা কঠিন। ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। বলা ভালো, সময়ের মধ্যে দুনিয়ার মানুষের আয়ু দ্বিগুণ হয়েছে; ক্ষুধা, দারিদ্র্য কমেছে; জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছেএসবের সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো এই এক শতকে দুনিয়ার জনসংখ্যা যতটা বেড়েছে, তা মানবেতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। গত সাত দশকে কোনো বিশ্বযুদ্ধও হয়নি। এখানে একটা প্যারাডক্স আছেখুব সম্ভবত পারমাণবিক বোমার ভয়ে দুনিয়ার যুদ্ধবাজরা এখন আর বিশ্বযুদ্ধ লাগাতে আগ্রহী নয়। এতক্ষণ নোবেল পুরস্কার প্রবর্তনের পর গত প্রায় ১২০ বছরে দুনিয়ার আগ্রগতি নিয়ে যে দু-চার কথা বলা হলো, তাতে নোবেলজয়ীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন