নওগাঁয় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষের টাকাসহ আটক ২

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁর ধামইরহাটে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অভিযানে ঘুষের ২৮ হাজার ৮৮৫ টাকাসহ অফিস সহকারী ও নৈশ্য প্রহরীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী ও উপজেলার চকযদু গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০) ও নৈশ্য প্রহরী ও চকপ্রসাদ গ্রামের নিয়াজ উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক (৪০)।

জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হটলাইন ১০৬ এ ফোন করে ধামইরহাট উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে (১৬ অক্টোবর) রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আল-আমিন তার টিম নিয়ে ধামইরহাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালান। অফিস বন্ধের সময় ঘুষ ও অনিয়মের ২৮ হাজার ৮৮৫ টাকা গণনার করার সময় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম ও নৈশ্য প্রহরী এনামুল হককে আটক করে দুদক। 

অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম আটককের পর এক প্রশ্নে উত্তরে জনসাধারণের সামনে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার তাহাজ্জোদ আলীর নির্দেশেই নিয়মের বাইরে জমি রেজিস্ট্রি খরচের বেশি টাকা নেওয়া হয়। আর সেই অতিরিক্ত টাকার ভাগও তিনি প্রতি দলিল থেকে নিয়ে থাকেন। 

তবে সাব-রেজিস্ট্রার তাহাজ্জোদ আলী দাবি করেন, তিনি কোন টাকার ভাগ বাটোয়ারার সাথে জড়িত নন। কোন অনিয়মও হয় না বলে দাবি করেন তিনি। 

দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধামইরহাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ২১টি দলিল সম্পাদন করা হয় এবং তার সরকারি ফি হিসাব অনুযায়ী ৯ হাজার ৪৮৫ টাকা থাকার নিয়ম। কিন্তু সেখানে সরকারি ফি বাদে অতিরিক্ত ২৮ হাজার ৮৮৫ টাকা পাওয়া যায়। যা অফিস সহকারী ও নৈশ্য প্রহরী অনিয়ম করে এসব টাকা গ্রহণ করেছেন। 

অপর প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, সাব-রেজিস্ট্রারকেও আমরা নজরদারিতে রেখেছি, তদন্তে জড়িত পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন