আউটবাউন্ড-২

অধিকাংশ বিত্তশালীই দ্বিতীয় দেশে ঠিকানা গড়ছেন

মনজুরুল ইসলাম ও তাসনিম মহসিন

নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করলেই বিদেশীদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। সুযোগ নিচ্ছেন বাংলাদেশের অধিকাংশ বিত্তশালী। বিনিয়োগকারী হিসেবে স্থায়ীভাবে বসবাসের লক্ষ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে ঠিকানা গড়ছেন তারা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই বাড়ছে সংখ্যা। এর মধ্যে বৈধ উপার্জনকারীরা যেমন আছেন, একইভাবে আছেন অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনকারীরাও।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ব্যবসায়ীরাই মূলত বিনিয়োগ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন দেশে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নিয়ে থাকেন। এর বাইরেও অনেকে আছেন অবৈধ উপায়ে যারা বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন, যা অপ্রদর্শিত। তারাও বিনিয়োগ কর্মসূচির আওতায় দ্বিতীয় কোনো দেশে আবাস গড়ছেন।

অর্থনীতিবিদ . আহসান এইচ মনসুর প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, উন্নত দেশগুলোয় অভিবাসনটি স্থায়ীভাবে হয়ে থাকে। ফলে যারা সেকেন্ড হোম বা অভিবাসন করেছেন, এক সময় তারা বাংলাদেশের সব সম্পত্তি বিক্রি করে চলে যাবেন। একে দেশের ওপর, সুশাসনের ওপর, ব্যবস্থাপনার ওপর আস্থাহীনতাকেই বোঝায়। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

কানাডা: দেশে শিপ ব্রেকিং ব্যবসা করে সম্পদশালী হন চট্টগ্রামের জয়নাল আবেদিন। বছর সাতেক আগে ব্যবসা বন্ধ করে কানাডায় পাড়ি জমান ব্যবসায়ী। দ্বিতীয় ঠিকানা হিসেবে সেখানেই স্থায়ীভাবে সপরিবারে বসবাস করছেন ব্যবসায়ী। যদিও অনাদায়ী রেখে গেছেন বড় অংকের ব্যাংকঋণ। অনেকদিন ধরে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী ইফফাত ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী দিদারুল আলমও।

কানাডার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে কানাডায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৫৪৪ জন বাংলাদেশী। তাদের বড় অংশই নাগরিকত্ব পেয়েছেন বিজনেস বা বিনিয়োগ ক্যাটাগরিতে। তবে কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কেবল বিনিয়োগ করলেই চলে না, আরো কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। নির্দিষ্ট কিছু খাতে বিনিয়োগের মেয়াদ হতে হয় কমপক্ষে পাঁচ বছর। বিনিয়োগের আগে ওই ব্যক্তি আদৌ বিনিয়োগের ব্যাপারে যোগ্য কিনা, সেটা যাচাইয়ের জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখাতে হয়। মনোনীত কানাডিয়ান ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগ হলে সেটার ন্যূনতম পরিমাণ লাখ ডলার। কানাডার মনোনীত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগ এলে সেটার ন্যূনতম পরিমাণ ৭৫ হাজার ডলার।

কানাডার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ডের তথ্যমতে, বিনিয়োগসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে কানাডায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পেয়েছেন ২০১০ সালে, হাজার ৭২১

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন